কলকাতা, 18 জানুয়ারি: ড্র, হার, হার। আইএসএলে গত তিন ম্যাচে পারফরম্যান্স গ্রাফ এমনই নিম্নমুখী ইস্টবেঙ্গলের ৷ যাতে সুপার সিক্সের স্বপ্ন বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। অঙ্কের বিচারে স্বপ্নপূরণের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি তাতে রসদ জোগাচ্ছে না। ফলে রবিবার মাণ্ডবী নদীতীরে এফসি গোয়া ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচ।
গত 48 ঘণ্টা ধরে গোয়ার মাটিতে পড়ে থেকে অস্কার তাঁর চোট-আঘাতে জর্জরিত দলকে মোটামুটি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, "দলটা পুরো হাসপাতাল হয়ে গিয়েছে।" কোনও সন্দেহ নেই কার্লেস কুয়াদ্রাত পরবর্তী সময়ে কঠোর পরিশ্রমে দলকে দাঁড় করিয়েছেন অস্কার ব্রুজো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের চোট পুরো দলের কাঠামো নাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও লড়াই করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন ব্রুজোঁ।
প্রাক-ম্য়াচ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রভসুখন গিলকে পাশে নিয়ে লাল হলুদ কোচ বলছেন, "আমরা এখন 14 পয়েন্টে আছি ৷ সুপার সিক্সে যেতে গেলে আমাদের কমপক্ষে 24 পয়েন্ট দরকার। তার জন্য আমাদের পরপর তিন ম্যাচে জিততে হবে ৷ যেটা এর আগে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল করে দেখায়নি। নিজেদের ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য প্রথম দু'টি বা তিনটি দলের মধ্যে থাকা। তার জন্য আমাদের আগে প্রথম ছয়ে উঠতে হবে।" আনোয়ার আলির মাঠে ফিরতে অন্তত দশদিন। সল ক্রেসপো সম্ভবত কেরালা ম্য়াচে ফিরবেন। প্রভাত লাকরা, মহম্মদ রাকিপ চোটে কাবু। সৌভিক চক্রবর্তী কার্ড সমস্যায় বাইরে। এই অবস্থায় নন্দকুমারকে রাইট ব্যাক খেলিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হেক্টর ইউস্তেকে নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে তিনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন কোচ। পিঠের ব্যথায় কাবু হলেও ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলছেন ক্লেইটন সিলভা। সাজঘরের এই বেহাল অবস্থাতেও ফুটবলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আশার আলো দেখছেন অস্কার। বলছেন, "ডিসেম্বর ভালো কাটলেও জানুয়ারি আমাদের জন্য খুব একটা ভালো কাটেনি। এফসি গোয়া খুবই প্রতিদ্বন্দ্বী দল। এরপরে কেরালা এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে ৷ তিনটি কঠিন ম্যাচ আমাদের খেলতে হবে ৷ দেখা যাক কত পয়েন্ট পাওয়া যায়।"
নবাগত রিচার্ড সেলিসের অভিষেক হচ্ছে রবিবার। তবে কখন তাঁকে নামাবেন তার ইঙ্গিত লাল-হলুদ কোচ দেননি। গোলের জন্য শুধুমাত্র দিয়ামান্তাকোসের উপর নির্ভর করতে রাজি নন ব্রুজোঁ। তাই গ্রিক স্ট্রাইকারকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়েও দ্বিধায় তিনি ৷ নতুন বিদেশির দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যে আরও সময় লাগবে, তাও জানালেন কোচ ৷ একইসঙ্গে রেফারিং নিয়ে যে হতাশ তা গোপন করছেন না স্প্যানিয়ার্ড।
প্রথম সাক্ষাতে ঘরের মাঠে গোয়ার কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবারের ম্যাচ তাই প্রতিশোধের, স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ৷ ব্রুজোঁ কঠিন পরিস্থিতিতে হাল না-ছাড়ার কথা বলছেন। মরিয়া লড়াইয়ে কি ইস্টবেঙ্গল ফিরবে? জানা যাবে রবিবার ৷