জেরুজালেম, 20 অক্টোবর:দেশের আকাশসীমা রক্ষাকারী 'আয়রন ডোম'-কে ভেদ করে তাঁর বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায় হিজবুল্লা ৷ সেই হামলার পর এবার পালটা হুঙ্কার দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ ইরান ও তার সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি ৷
একটি বিবৃতি প্রকাশ করে নেতানিয়াহু বলেন, "আমাকে ও আমার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে মারাত্মক ভুল করে ফেলেছে ইরান ও তার সহযোগী হিজবুল্লা ৷ এর কড়া জবাব দেওয়া হবে ৷ শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই জারি থাকবে ৷ ইজরায়েলের নাগরিকদের ক্ষতি করতে চাইলে, তার পরিণাম হবে ভয়ানক !" সেই সঙ্গে তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ, স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্য়ত দেওয়ার লক্ষ্য়ে দেশের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে ইজরায়েল ৷
শনিবার সকালে লেবাননের দিক থেকে দক্ষিণ হাইফার সিজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে 3টি ড্রোন উড়ে আসে ৷ আইডিএফ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, নজরে আসতেই 2টি ড্রোনকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলি বায়ুসেনা ৷ তবে একটি ড্রোন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে খানিক দূরে একটি ফাঁকা বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে ৷ এর ফলে প্রবল বিস্ফোরণ হয় ৷ সতর্কতায় সাইরেন বাজতে শুরু করে দেশজুড়ে ৷ যদিও হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ৷
হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দফতর থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ হামলার সময় ভাগ্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী সারা বাসভবনে না থাকায় তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে ৷ তবে এই হামলার যে ভয়ানক ফলাফল ভুগতে হবে হিজবুল্লা আর ইরানকে, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু ৷ হিজবুল্লাকে সঙ্গে নিয়ে ইরান যে যুদ্ধ শুরু করেছে, তার ফল তাকে দিতে হবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, গত বছরের 7 অক্টোবর ইজরায়েলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ৷ সেই হামলার জবাবে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হামাসকে সমর্থনে এগিয়ে আসে ইরান ৷ যুদ্ধের জন্য হামাসকে প্রয়োজনীয় সাহায্য় করে তারা ৷ গত এক বছর ধরে পরোক্ষভাবে সাহায্য করলেও, সপ্তাহখানেক আগে যুদ্ধের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে ইজরায়েলের উপর একসঙ্গে 200টি মিসাইল হামলা চালায় ইরান ৷ পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হওয়ার হুমকিও দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ৷