রিয়াধ, 18 ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান এবং সম্পর্ক উন্নত করার জন্য আলোচনা শুরু করার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরবে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেছেন। রিয়াধের দিরিয়াহ প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি ট্রাম্প প্রশাসনের রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি পরিবর্তনের দিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এর লক্ষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করা।
এই মাসের শুরুতে, ট্রাম্প ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতি মার্কিন নীতি পরিবর্তন করে বলেন, তিনি এবং পুতিন যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। ইউক্রেনের শীর্ষকর্তারা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন ৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন যে, কিয়েভ অংশগ্রহণ না করলে তার দেশ এই বৈঠকের ফলাফল মেনে নেবে না।
সোমবার রাতে সৌদি রাজধানীতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং পুতিনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। উশাকভ বলেন, আলোচনাটি "সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক" হবে এবং এতে ইউক্রেনের কর্তারা জড়িত থাকছেন না।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করবেন, বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন। প্রায় তিন বছরের প্রবল যুদ্ধের পর এই আলোচনা মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণকে চিহ্নিত করছে। এই যুদ্ধের কারণে, মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে ৷ যদিও ইউক্রেনের কর্তাদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই বৈঠক চলাকালীন রাশিয়া 176টি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ করে, যার ফলে বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি, রাশিয়া 176টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে 38টি অ্যাপার্টমেন্ট খালি করতে হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মতে, তাদের বিমান বাহিনী 103টি রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে। কিছু জায়গায়, ড্রোনগুলি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। তবে এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি।