ETV Bharat / state

আমার স্ত্রী’র সঙ্গে সম্পর্ক, রাগে পুরুষাঙ্গ কেটেছি ! দত্তপুকুর-কাণ্ডে বিস্ফোরক জলিল - DUTTAPUKUR MURDER CASE

দেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ হন‍্যে হয়ে খুঁজছিল যুবকের কাটা মুণ্ডু । এদিন জলিলের পাশাপাশি তার স্ত্রীকেও পুলিশ নিয়ে আসে খুনের জায়গায় ।

Duttapukur Murder Case
দত্তপুকুর-কাণ্ডে বিস্ফোরক জলিল (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 18, 2025, 6:32 PM IST

Updated : Feb 18, 2025, 6:48 PM IST

দত্তপুকুর, 18 ফেব্রুয়ারি: ‘‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করত । সেই কারণে ওর (হজরত) উপর আমার খুব রাগ ছিল । তাই রাগে আমি ওর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি ।’’ দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণে মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিল ধৃত জলিল । সেইসঙ্গে এদিন হজরতের কাটা মুণ্ডুও উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনার 15 দিনের মাথায় দত্তপুকুর থেকে দু'কিলোমিটার দূরে বামনগাছি স্টেশন সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবকের কাটা মুণ্ডু ।

দেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ হন‍্যে হয়ে খুঁজছিল যুবকের কাটা মুণ্ডু । ঘটনাস্থলের পাশে বাজিতপুরের সুটি খালে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের নামানোও হয়েছিল । টানা দু’দিন ধরে সেই খালে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কাটা মুণ্ডুর হদিস । শেষমেশ তল্লাশি অভিযান বন্ধ করে দেয় বারাসত জেলা পুলিশ । এরপর তদন্তকারীরা তাকিয়ে ছিল ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জলিল গাজির গ্রেফতার হওয়ার দিকে । শেষমেশ খুনের ন’দিনের মাথায় জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার করে তাকে এরাজ‍্যে নিয়ে আসে পুলিশ ।

জেরার মুখে আগেই কোথায় হজরতের কাটা মুণ্ডু ফেলা হয়েছিল, তা জানিয়ে দেয় পুলিশকে । এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় সেই কাটা মুণ্ডুরই হদিস দিল জলিল । এদিন জলিলের পাশাপাশি তার স্ত্রীকেও পুলিশ নিয়ে আসে খুনের ঘটনাস্থলে । সেখানে সে পুলিশকে খুনের ঘটনার বিবরণ দেয় । কীভাবে হজরত লস্করকে ডেকে এনে দত্তপুকুরের মালিয়াকুরে চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে, সে কথাও জলিল এবং তার স্ত্রী এদিন জানিয়েছে তদন্তকারীদের ।

Duttapukur Murder Case
দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণ (ইটিভি ভারত)

তা শুনে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারাও । এতদিন ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা একেক সময় এক এক রকম তথ্য পেয়েছে । কখনও প্রেমঘটিত সম্পর্কের টানাপোড়েন, নয়তো ব‍্যক্তিগত আক্রোশ । আবার কখনও সোনার ভাগ বাঁটোয়ারা, নয়তো বাংলাদেশি লিঙ্কম্যানকে ধরিয়ে দেওয়ার আক্রোশে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে হজরতকে, এরকম কথাই উঠে এসেছে । কিন্তু এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে জলিলের স্বীকারোক্তি ।

কী এমন স্বীকারোক্তি, যা শুনে পুলিশও হতবাক ?

পুলিশকে জলিল জানিয়েছে, তার স্ত্রী’র সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হত হজরত । জলিলের বামনগাছির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল তাঁর । খুনের আগের দিন রাতেও হজরত জলিলের বাড়িতে এসেছিলেন । স্ত্রী’র সঙ্গে বন্ধু হজরতের যৌন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি । পরবর্তী সময়ে যৌন সম্পর্কে আপত্তি জানাতে শুরু করেছিলেন জলিলের স্ত্রী’ও । কিন্তু, তাতে কান দেয়নি হজরত । যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি জলিলের স্ত্রী'র উপর শারীরিক অত্যাচারও করতেন বলে অভিযোগ । এরপরেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে হজরতকে খুনের পরিকল্পনা করেন ।

জলিল আরও জানিয়েছে, হজরতকে মারার সময় তার সঙ্গে স্ত্রী’ও উপস্থিত ছিল ঘটনাস্থলে । জলিলের স্ত্রী প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিল হজরতের মাথায় । তারপর জলিল কুপিয়ে খুন করে হজরতকে । খুনের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয় সে ।পুলিশ জানতে পেরেছে, খুন ও তার পরবর্তী প্রমাণ লোপাটের গোটা ঘটনায় জলিলকে সাহায্য করেছিল তার স্ত্রী । যৌন নির্যাতন চালানোর রাগে খুনের পর তাঁর যৌনাঙ্গও কেটে দিয়েছিল জলিল ।

দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বারাসতের এসডিপিও বিদ‍্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত । তিনি বলেন, ‘‘জলিল ও তার স্ত্রী কীভাবে হজরতকে খুন করেছে, তা এদিন পুনর্নির্মাণে দেখিয়েছে । খুনের কথাও তারা কবুল করেছে । হজরতের মোবাইলটি পাশের আরও একটি ডোবাতে ফেলে দিয়েছে জলিলের স্ত্রী । আর মোবাইলের সিমটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে । জলিলের স্ত্রী নিজেই সে কথা জানিয়েছে । সেগুলির খোঁজ চলছে । বাকিটা তদন্তের বিষয় । তদন্ত হলেই স্পষ্ট হবে ।’’

প্রসঙ্গত, গত 3 ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের মালিয়াকুর এলাকার একটি চাষের জমি থেকে বছর চল্লিশের এক যুবকের মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । প্রমাণ লোপাটে দেহটি'র হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল । যৌনাঙ্গও ছিল ক্ষতবিক্ষত । হাড়হিম করা সেই ঘটনার দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল মালিয়াকুর গ্রাম । ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা মদের গ্লাস, চিপসের বেশ কিছু প্যাকেটও খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ । ঘটনার দু’দিনের মাথায় যুবকের বাঁ-হাতের ট‍্যাটু ও পোশাকের ছেঁড়া অংশের সূত্র ধরে পরিচয় মেলে যুবকের । উদ্ধার হয়েছে খুনে ব‍্যবহৃত অস্ত্রটিও ।

জানা যায়, নিহত যুবকের নাম হজরত লস্কর । আদতে দক্ষিণ 24 পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা তিনি । তবে, বছর খানেক হল স্ত্রী’কে নিয়ে গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন । ওই একই গ্রামে বাড়ি হজরতের মামাতো ভাই ওবায়দুল গাজিরও । যাকে হজরত হত‍্যা-কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতার হয়েছেন হজরতের প্রাক্তন প্রেমিকা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীও । যাঁর স্বামী জলিলকে জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার করে এ রাজ‍্যে নিয়ে এসেছে বারাসত জেলা পুলিশ । এই জলিলই হজরত লস্কর খুনের মাস্টারমাইন্ড । তাকে জেরা করেই মঙ্গলবার হদিস মিলল হজরতের কাটা মুণ্ডুর ।

আরও পড়ুন

দত্তপুকুর, 18 ফেব্রুয়ারি: ‘‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করত । সেই কারণে ওর (হজরত) উপর আমার খুব রাগ ছিল । তাই রাগে আমি ওর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি ।’’ দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণে মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিল ধৃত জলিল । সেইসঙ্গে এদিন হজরতের কাটা মুণ্ডুও উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনার 15 দিনের মাথায় দত্তপুকুর থেকে দু'কিলোমিটার দূরে বামনগাছি স্টেশন সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবকের কাটা মুণ্ডু ।

দেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ হন‍্যে হয়ে খুঁজছিল যুবকের কাটা মুণ্ডু । ঘটনাস্থলের পাশে বাজিতপুরের সুটি খালে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের নামানোও হয়েছিল । টানা দু’দিন ধরে সেই খালে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কাটা মুণ্ডুর হদিস । শেষমেশ তল্লাশি অভিযান বন্ধ করে দেয় বারাসত জেলা পুলিশ । এরপর তদন্তকারীরা তাকিয়ে ছিল ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জলিল গাজির গ্রেফতার হওয়ার দিকে । শেষমেশ খুনের ন’দিনের মাথায় জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার করে তাকে এরাজ‍্যে নিয়ে আসে পুলিশ ।

জেরার মুখে আগেই কোথায় হজরতের কাটা মুণ্ডু ফেলা হয়েছিল, তা জানিয়ে দেয় পুলিশকে । এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় সেই কাটা মুণ্ডুরই হদিস দিল জলিল । এদিন জলিলের পাশাপাশি তার স্ত্রীকেও পুলিশ নিয়ে আসে খুনের ঘটনাস্থলে । সেখানে সে পুলিশকে খুনের ঘটনার বিবরণ দেয় । কীভাবে হজরত লস্করকে ডেকে এনে দত্তপুকুরের মালিয়াকুরে চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে, সে কথাও জলিল এবং তার স্ত্রী এদিন জানিয়েছে তদন্তকারীদের ।

Duttapukur Murder Case
দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণ (ইটিভি ভারত)

তা শুনে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারাও । এতদিন ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা একেক সময় এক এক রকম তথ্য পেয়েছে । কখনও প্রেমঘটিত সম্পর্কের টানাপোড়েন, নয়তো ব‍্যক্তিগত আক্রোশ । আবার কখনও সোনার ভাগ বাঁটোয়ারা, নয়তো বাংলাদেশি লিঙ্কম্যানকে ধরিয়ে দেওয়ার আক্রোশে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে হজরতকে, এরকম কথাই উঠে এসেছে । কিন্তু এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে জলিলের স্বীকারোক্তি ।

কী এমন স্বীকারোক্তি, যা শুনে পুলিশও হতবাক ?

পুলিশকে জলিল জানিয়েছে, তার স্ত্রী’র সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হত হজরত । জলিলের বামনগাছির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল তাঁর । খুনের আগের দিন রাতেও হজরত জলিলের বাড়িতে এসেছিলেন । স্ত্রী’র সঙ্গে বন্ধু হজরতের যৌন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি । পরবর্তী সময়ে যৌন সম্পর্কে আপত্তি জানাতে শুরু করেছিলেন জলিলের স্ত্রী’ও । কিন্তু, তাতে কান দেয়নি হজরত । যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি জলিলের স্ত্রী'র উপর শারীরিক অত্যাচারও করতেন বলে অভিযোগ । এরপরেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে হজরতকে খুনের পরিকল্পনা করেন ।

জলিল আরও জানিয়েছে, হজরতকে মারার সময় তার সঙ্গে স্ত্রী’ও উপস্থিত ছিল ঘটনাস্থলে । জলিলের স্ত্রী প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিল হজরতের মাথায় । তারপর জলিল কুপিয়ে খুন করে হজরতকে । খুনের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয় সে ।পুলিশ জানতে পেরেছে, খুন ও তার পরবর্তী প্রমাণ লোপাটের গোটা ঘটনায় জলিলকে সাহায্য করেছিল তার স্ত্রী । যৌন নির্যাতন চালানোর রাগে খুনের পর তাঁর যৌনাঙ্গও কেটে দিয়েছিল জলিল ।

দত্তপুকুর-কাণ্ডে পুনর্নির্মাণের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বারাসতের এসডিপিও বিদ‍্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত । তিনি বলেন, ‘‘জলিল ও তার স্ত্রী কীভাবে হজরতকে খুন করেছে, তা এদিন পুনর্নির্মাণে দেখিয়েছে । খুনের কথাও তারা কবুল করেছে । হজরতের মোবাইলটি পাশের আরও একটি ডোবাতে ফেলে দিয়েছে জলিলের স্ত্রী । আর মোবাইলের সিমটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে । জলিলের স্ত্রী নিজেই সে কথা জানিয়েছে । সেগুলির খোঁজ চলছে । বাকিটা তদন্তের বিষয় । তদন্ত হলেই স্পষ্ট হবে ।’’

প্রসঙ্গত, গত 3 ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের মালিয়াকুর এলাকার একটি চাষের জমি থেকে বছর চল্লিশের এক যুবকের মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । প্রমাণ লোপাটে দেহটি'র হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল । যৌনাঙ্গও ছিল ক্ষতবিক্ষত । হাড়হিম করা সেই ঘটনার দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল মালিয়াকুর গ্রাম । ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা মদের গ্লাস, চিপসের বেশ কিছু প্যাকেটও খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ । ঘটনার দু’দিনের মাথায় যুবকের বাঁ-হাতের ট‍্যাটু ও পোশাকের ছেঁড়া অংশের সূত্র ধরে পরিচয় মেলে যুবকের । উদ্ধার হয়েছে খুনে ব‍্যবহৃত অস্ত্রটিও ।

জানা যায়, নিহত যুবকের নাম হজরত লস্কর । আদতে দক্ষিণ 24 পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা তিনি । তবে, বছর খানেক হল স্ত্রী’কে নিয়ে গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন । ওই একই গ্রামে বাড়ি হজরতের মামাতো ভাই ওবায়দুল গাজিরও । যাকে হজরত হত‍্যা-কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতার হয়েছেন হজরতের প্রাক্তন প্রেমিকা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীও । যাঁর স্বামী জলিলকে জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার করে এ রাজ‍্যে নিয়ে এসেছে বারাসত জেলা পুলিশ । এই জলিলই হজরত লস্কর খুনের মাস্টারমাইন্ড । তাকে জেরা করেই মঙ্গলবার হদিস মিলল হজরতের কাটা মুণ্ডুর ।

আরও পড়ুন

Last Updated : Feb 18, 2025, 6:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.