নয়াদিল্লি ও মালে, 21 জানুয়ারি: প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকে সংকটজনক অবস্থায় এক কিশোরকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল ৷ তা হলেও অনেক দেরিতে ৷ শনিবার ওই কিশোরের মৃত্যু হয় ৷ এর জন্য মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুকেই দায়ী করেছে মৃত কিশোরের পরিবার এবং দেশের বিরোধী দল ৷ স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, ভারতের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু ৷ আর তাতেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে 14 বছর বয়সি কিশোর ৷ এরপর প্রেসিডেন্টকে বিরোধী দলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হল ৷ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছে ৷ তারই মাঝে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ৷
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অসুস্থ ছেলেটির পরিবার ভারতীয় বিমান ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টে ছেলেটিকে উড়িয়ে রাজধানী মালেতে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিল ৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রেসিডেন্ট মুইজু ৷ মলদ্বীপে এই ডরনিয়ের এয়ারক্রাফ্টটি মানবিক কারণে জরুরি অবস্থায় কোনও যাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ এই বিমানটির নির্মাতা সংস্থা ভারতের হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা এইচএএল ৷
মলদ্বীপের মিডিয়া সূত্রের খবর, ওই কিশোর মলদ্বীপের প্রত্যন্ত গাফ আলিফ ভিলিংগিলি দ্বীপের বাসিন্দা ৷ তার মস্তিষ্কে টিউমার রয়েছে ৷ বুধবার, 17 জানুয়ারি রাতে ওই কিশোরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ৷ এরপর তার পরিবার তাকে তড়িঘড়ি বিমানে মালে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকে ৷ কিন্তু সারারাত তারা বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও কেউ উত্তর দেয়নি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিমান কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয় ৷ এদিকে সংকটজনক অবস্থায় কিশোর 16 ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল ৷ এরপর স্থানীয়রা এলাকার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ৷ পরে অবশ্য অসুস্থ কিশোরকে মালেতে নিয়ে এসে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ শনিবার তার মৃত্যু হয় ৷