কলকাতা: সাধারণত প্রতি 28 দিনে একবার করে মেয়েদের পিরিয়ড হয় । কিন্তু কিছু মানুষের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকে । ফলস্বরূপ, মাসিক যা মাসে একবার আসা উচিত তা প্রতি দুই বা তিন সপ্তাহে আসে । অনেকে বুঝতে পারেন না এর কারণ কী ? চিকিৎসকদের মতে, প্রতি মাসে 24 দিনের ব্যবধান থাকলে একই মাসে দু'বার পিরিয়ড হওয়াটাই স্বাভাবিক ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, অনিয়মিত পিরিয়ড কিছু মানুষের মধ্যে বহু অস্বাভাবিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । সেজন্য স্বতন্ত্র উপসর্গের উপর নির্ভর করে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় (What causes Menstrual cycles to change) ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণেও মাসে দু'বার পিরিয়ড হতে পারে । বলা হয় জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের মতো একটি স্তর বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা হয় । ফলে অনিয়মিত রক্তপাতের সঙ্গে তলপেটে তীব্র ব্যথা হয় । এই বিষয়টিকে অবহেলা না করে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেনোপজের কাছাকাছি এলে মাসিক চক্রও ভুল হয়ে যায় । হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমনটি হয় । কিন্তু এই সময়ে দেরিতে আসা, অল্প সময়ের মধ্যে আসা এবং কখনও কখনও একেবারেই না আসার মতো লক্ষণগুলি মাসিক চক্র নির্বিশেষে লক্ষ্য করা যায় । এটি ব্যাখ্যা করা হয় 'পেরি মেনোপজ' নামক এই পর্যায়েও মাসে দু'বার পিরিয়ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ফলে কিছু জিনিস মানলে এটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ৷
আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (American College of Obstetricians and Gynecologists- ACOG)জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পিরিয়ডগুলি থাইরয়েড ফাংশনের উপরও নির্ভরশীল যা থাইরয়েড গ্রন্থি আন্ডার-রিঅ্যাক্টিং (হাইপোথাইরয়েডিজম) এবং থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল (হাইপারথাইরয়েডিজম) । এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ অ্যান বার্ক ৷
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, সদ্য ঋতুস্রাব হওয়া মেয়েদের মধ্যেও মাসিক ঠিকমতো হয় না । কারও মাসে দু'বার পিরিয়ড হয় আবার কারও প্রতি দুই মাসে একবার ৷ এটি হরমোনের মাত্রার ওঠানামার কারণ হতে পারে । কিন্তু এই সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্যের কোনও পার্থক্য দেখা দিলে, এমনকি প্রচণ্ড রক্তপাত হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার ৷