কলকাতা: বর্ষাকালে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে । বেশিরভাগ মানুষের নাক দিয়ে সর্দি ঝড়ে। বারবার নাক দিয়ে জল পড়া অস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়ায় । বিশেষজ্ঞরা জানান, কিছু খাবার ও ভাপ দেওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।
গরম জলের গার্গল: বিশেষজ্ঞরা জানান, সর্দি হলে গার্গল করলে উপশম পাওয়া যায় । এতে শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয় এবং নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । তাছাড়া গরম জল দিয়ে স্নান করলেও কিছুটা উপশম পাওয়া যায় ।
স্টিমিং: বিশেষজ্ঞরা জানান, ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতে স্টিমিং খুব সহায়ক হতে পারে । এরজন্য একটি পাত্রে কিছু গরম জল নিন এবং তাতে সামান্য হলুদ বা দুই ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল যোগ করে ভাপ নিন । তবে স্টিম করার সময় মুখ ও জলের মধ্যে অন্তত 10 ইঞ্চি দূরত্ব আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে । তবে কমপক্ষে 5 মিনিট ভাপ নেওয়া উচিত ৷
বেশি জল পান করা:বর্ষাকাল ঠান্ডা ঠান্ডা হওয়ায় অনেকেই বেশি জল পান করেন না । এছাড়াও আপনার সর্দি হলে বেশি জল পান করতে ভালো লাগে না । তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, জল আরও বেশি পরিমাণে পান করা উচিত । বেশি করে জলপান করলে সংক্রমণ দ্রুত কমে যাবে ৷ সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ৷
আদা চা:অনেকেই সর্দি কাশি হলে আদা চা পান করে থাকেন ৷বিশেষজ্ঞদের মতে,এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি এই স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি থেকে তাত্ক্ষণিক মুক্তি দেয় ।
'জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন'(Journal of Alternative and Complementary Medicine)-এ প্রকাশিত একটি 2016 গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদা চায়ের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি শ্লেষ্মা উৎপাদন কমাতে এবং ঠান্ডা উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে । এই গবেষণাটি দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু হ্যানিয়াং ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ ডাঃ চোই অংশ নিয়েছিলেন । তিনি বলেন, "আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে ।"
মধু চা:বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভেষজ চা সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও সাহায্য করে । এরজন্য এক গ্লাস ফুটানো জল, তাতে এক চামচ মধু ও হাফ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে গরম করে পান করাই যথেষ্ট । হলুদ, গোলমরিচ এবং মধুর মিশ্রণ সর্দি কমাতে সাহায্য় করে ৷
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামতও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷