কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার নাগরিক সমাজের মহামিছিলের সাক্ষী থাকল কলকাতা ৷ রবিবার কলেজ স্কোয়্য়ার থেকে দুপুর 3টে নাগাদ শুরু হওয়া মিছিল শেষ হয় ধর্মতলার ধর্না মঞ্চে এসে ৷ মিছিলে রূপান্তরকামী মানুষ, কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে হাঁটেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, দেবলীনা দত্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তীদের মতো অভিনেত্রীরা ৷ ঘটনার প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়ায় প্রথম থেকেই সরব ছিলেন স্বস্তিকা ৷ এবার পথে নেমে প্রতিবাদের সুর শোনা গেল তাঁর গলায় ৷ তিনি বলেন, "আমাদের রাজ্য তথা দেশে ভয়ের ব্যবসাটাই এখন সবথেকে বড় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।"
'ভয়ের ব্যবসাটাই এখন সবথেকে বড় ব্যবসা', মিছিল থেকে বললেন স্বস্তিকা - RG Kar Doctor Rape and Murder - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER
Swastika Mukherjee Reacts on RG Kar Case: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকে সোশাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ৷ রবিবার নাগরিক সমাজের মহামিছিলে সামিল হয়ে কী বললেন অভিনেত্রী ?
Published : Sep 2, 2024, 8:49 AM IST
বরাবরই 'ঠোঁটকাটা' হিসেবেই পরিচিত স্বস্তিকা ৷ রূপোলি পর্দা হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন ৷ সবসময় তাঁকে সোজাসাপটা কথা বলতেই শোনা গিয়েছে ৷ এদিনও তার অন্যথা হল না ৷ 9 অগস্টের সেই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে বলেন, "কেউ এখানে নিজের কথা বলছে না ৷ সবাই অন্যের জন্য বলছে। আমাদের রাজ্য তথা দেশে ভয়ের ব্যবসাটাই এখন সবথেকে বড় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ সেটা ধর্ষণ হোক, খুন বা র্যাগিং-ভয়ের ব্যবসাটাই বড় ব্যবসা ।" এতদিন দেশের বাইরে ছিলেন অভিনেত্রী ৷ দেশে ফিরেই রবিবার প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "ঘরে বসে প্রতিবাদ করা যায় না ৷ আমি এর আগে আসতে পারছিলাম না বলে, নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল । দেশে ফেরার পর আজই যোগ দিলাম ৷"
আরজি কর ঘটনার তদন্ত প্রথমে লালবাজারের হাতে থাকলেও, এখন রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে ৷ স্বস্তিকা বলেন, "আমাদের বলা হচ্ছে, এত প্রতিবাদের কী আছে ! দোষীকে তো আমরা ধরেই ফেলেছি । কিন্তু আমরা তো বিশ্বাস করব না । দোষী তো এখানে একজন নয় । আমাদের বুদ্ধি নেই ? আমরা কিছুই বুঝি না ? রাতারাতি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ! মানুষ কিছুই বোঝে না ? আমরা যখন সরকার গঠন করেছি, তখন আমাদের বুদ্ধি আছে ৷" অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, "যারা জড়িয়ে আছে, তাদের বাঁচানোর জন্যই তো এতকাণ্ড হচ্ছে । এত মানুষের দেশে যদি এত রাতারাতি নোটবন্দি করে ফেলা যায় তাহলে 23 দিন কেটে যাওয়ার পরও কেন অপরাধীদের ধরা গেল না ৷"