পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / entertainment

'আমার সন্তানের সঙ্গে যদি অঘটন ঘটে রাষ্ট্র দায় নেবে না...'- শ্রীলেখা মিত্র - Sreelekha Mitra - SREELEKHA MITRA

RG Kar Rape and Murder Case: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সিবিআই তদন্তে গতি আনছে ৷ 9 অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ চলছে ৷ ধীর গতিতে চলা বিচার ব্যবস্থা দেখে হতাশা অনুভব করছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ৷

RG Kar Rape and Murder Case
শ্রীলেখা মিত্র (সোশাল মিডিয়া)

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Aug 23, 2024, 4:48 PM IST

হায়দরাবাদ, 23 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে মামলা হাতে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার মামলার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই ৷ এমনকী, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্দে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে ৷ কিন্তু শাস্তি? না, বিচার পদ্ধতিতে এখনও পর্যন্ত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়নি ৷ ধীর গতিতে চলা বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ক্লান্তির কথা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন শ্রীলেখা মিত্র ৷ কটাক্ষের মুখ পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে সানাও ৷

শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী লেখেন, "কী অসম্ভব ক্লান্তিকর এক বিচার পদ্ধতি! কী অসম্ভব দীর্ঘ ক্লান্ত দিন কাটছে! কী চূড়ান্ত বিরক্তিকর এক সময়! গিটার বাজাচ্ছে নায়িকা! গান চলছে, 'আমার এই দেহ খানি তুলে ধরো '৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে সদ্য ইংল্যান্ড থেকে নেমে ঝরঝরে ইংলিশে জানাচ্ছে, আমি কলকাতায় থাকি না। তবে এখানকার মেয়েদের নিরাপত্তা দরকার। কী যান্ত্রিক কথা! কী যান্ত্রিক গলার স্বর। কোন আবেগ নেই, কোন দুঃখ নেই। শুধু কোন রকম মিছিল শেষ করেই ফিরতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "কেউ গোল হয়ে দাঁড়িয়ে একটানা গেয়ে যাচ্ছে, "আজা শাম হুই মুঝে তেরি ফিকর হোনে লাগি …" । আবেগ ছত্রে ছত্রে! স্কুলের বাচ্ছা ছেলে মেয়েরা দুর্ভাগা সেই মেয়ের জন্য মিছিল করছে হাতে মোবাইল নিয়ে। রিল বানাতে বানাতে জুড়ে দিচ্ছে সেই অমোঘ গান, "দেখো আলোয় আলো আকাশ…" রিল শেষে বলতে ভুলছে না আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নেবেন!"

অভিনেত্রী আরও বলেন, "কী জানি! আগে কোনও দিন এতো ক্লান্তিকর এতো দীর্ঘ মনে হয়নি জীবনকে! এতোটা অসহ্য লাগেনি এই পৃথিবী। আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যেতে দেখলে হয়তো এতোটাই ক্লান্তি আসে! আমি এতদিনে জেনে গেছি, আমার সন্তানের সঙ্গে যদি অঘটন কিছু ঘটে রাষ্ট্র কোনও দায় নেবে না। আমার সন্তানের নামটি চিরতরে শুধু মুছে যাবে পৃথিবী থেকে! আর অসহায় মা, বাবা ভাববে আমার সন্তানটি মৃত্যুর আগের মুহূর্তে কি বাঁচতে চেয়ে খুব জোরে একবার চিৎকার করেছিল? আমি শুনতে পাইনি, ঘুমিয়েছিলাম। তারপরও কিছু আশা নিয়ে আমি বেঁচে থাকব! অপেক্ষা করব খুনির শাস্তির। আর মহামান্য আদালত তখন চোখে কাপড় বেঁধে একের পর এক তারিখ দিয়ে যাবে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details