হায়দরাবাদ, 21 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তোপ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের ৷ ইতিমধ্যেই কসবা কাণ্ডের পর জমি নিয়ে বিতর্কের জল ক্রমশ গড়াচ্ছে ৷ একের পর এক ভেরি বা জলাশয় ভরাট থেকে শুরু করে বেআইনি নির্মাণে জর্জরিত গুলশন কলোনি ৷ ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে জমি সমীক্ষা বা জমি জরিপের কাজও শুরু হয়েছে ৷
তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন রুদ্রনীল ৷ তারপরেই সোশাল মিডিয়ায় হলেন কটাক্ষের শিকার ৷ এদিন রুদ্রনীল ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "মমতা জমি-সিন্ডিকেট ৷ জনগণ 'উপেন' ৷" এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল ৷ তারপরেই রবি ঠাকুরের ছবি ও কবিতা 'দুই বিঘা জমি'-র উল্লেখ করতেই নেটপাড়ায় একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়েন অভিনেতা ৷
রবি ঠাকুরের 'দুই বিঘা' জমি-র লেখা ধার করে রুদ্রনীল সেখানে লেখেন 'দুই হাজার বিঘা জমি' ৷ এরপর নীচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম কেটে লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ব্র্যাকেটে লেখেন, "ভূমি-ভূমি সংস্কার-ভূমি ব্যবহার-ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ৷"এরপরেই আসে রুদ্রনীলের লেখা কবিতা ৷ সেখানে লেখা হয়,"বাবু কহিলেন বিদায় বেলায়, সব জমি দেব ঝাড়ি/রোহিঙ্গা আর প্রোমোটার দিয়া চাল চুলা নিব কাড়ি/ ও বোকা উপেন খাও হে নজেন/ তৈরি ববি-সুশান্ত/স্নেহের পরশ ছড়াবে ওরা/জনতা অবলাকান্ত ৷"
এমন পোস্ট সামনে আসতেই বেশ কিছু নেটিজেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে ৷ এক নেটিজেন লিখেছেন, "টিএমসি বা সরকার কে আপনি বিঁধতেই পারেন ৷ এই সরকার এবং যাদের নাম লেখা আছে তাদের প্রতি কোনও সহমর্মিতা আমার নেই, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামটা না জড়িয়ে অন্য ভাবে লিখলে আমার মনে হয় ভালো হতো, বিশেষ করে ' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' লিখে সেটা কেটে দেওয়া এটা আমার দেখতে ভালো লাগছে না মোটেই ৷ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত৷"
এরপরেই জবাব দিয়েছেন অভিনেতাও ৷ তিনি লেখেন, "প্রতিবাদ করেছিলেন যেদিন রবীন্দ্রনাথের 'বাংলার মাটি বাংলার জল' গানের শব্দ কেটে নিজের শব্দ বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'রাজ্য সংগীত' গেয়েছিলেন?? আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। চুপ ছিলেন আপনারা অনেকে।" যদিও অনেক নেটিজেন রুদ্রনীলের কবিতার সমর্থনে মন্তব্য করেছেন ৷