কলকাতা, 15 মে: মৃণাল সেনের মানসকন্যা ছিলেন মমতা শঙ্কর। 1976 সালে মুক্তি পায় 'মৃগয়া' ৷ ছবিতে ডুংরির চরিত্রে নজর কাড়েন মমতা শঙ্কর ৷ সেই শুরু ৷ সিনেমা জগতে পরিচালক মৃণাল সেন যেভাবে মমতা শঙ্করের অভিনয় সত্ত্বাকে তুলে ধরেন তা এককথায় অনস্বীকার্য ৷ সেই কিংবদন্তী পরিচালকের 101তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে নানা উপলব্ধির কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর ৷
তিনি বলেন, এত সাংবাদিক আমার সাক্ষাৎকার নিতেন না যদি মৃণাল সেন না থাকতেন। সিনেমা জগতে আমার অস্বিত্ব মৃণালদার জন্য ৷ মৃণালদা আমার কাছে কতটা সেটা ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয় ৷ আর কীভাবে ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করব, বুঝে উঠতে পারছি না ৷ পরিচালক হিসেবে বলব নাকি মানুষ হিসাবে বলব নাকি বন্ধু হিসেবে ব্যাখ্যা করব বুঝতেই পারছি না! আবার আমার বাবা-মায়ের জায়গায় মৃণালদা ও বৌদিকে নিয়েও বলতে পারব অনায়াসে! আসলে তাঁকে নিয়ে দু-এক কথায় বর্ণনা করা আমার পক্ষে মুশকিল ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমি ওঁর জন্মদিনে দই নিতে যেতাম ৷ সেটা উনি পছন্দ করতেন ৷ আসলে মৃণালদা আমাকে জীবনে প্রথমবার কত কিছু যে করিয়েছেন, তা ভাবাই যায় না ৷ নিজের টাকায় প্লেনে ফার্স্ট ক্লাসে চড়া মৃণালদার দৌলতে ৷ প্রথম সিনেমায় অভিনয় মৃণালদার হাত ধরে ৷ প্রথম 100 টাকা আয় করাও মৃণালদার সৌজন্যে ৷ আসলে ওঁর মতো মজার মানুষ এবং ওঁর মতো জ্ঞানী মানুষ আর হয় না ৷"
উল্লেখ্য, মৃণাল সেন পরিচালিত 'খারিজ', 'মৃগয়া', 'একদিন প্রতিদিন', 'ওকা উড়ি কথা' (তেলুগু)-র মতো ছবিতে অভিনয় করেন মমতা শঙ্কর। শুধু পরিচালক-অভিনেত্রীর সম্পর্ক নয়, মৃণাল সেনের পরিবারের সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মিক বন্ধন। স্ত্রী গীতা সেন, পুত্র কুণাল সেন এবং পুত্রবধূ নীশা সেনের সঙ্গেও ছিল মধুর সম্পর্ক। নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের কাছে ভগবানের থেকেও উঁচু জায়গায় রয়েছেন প্রয়াত পরিচালক ৷