কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: বাঙালি পরিচালক, অভিনেতা, সঙ্গীত শিল্পী থেকে সুরকারের মুম্বই কাঁপানোর ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার হিন্দি ধারাবাহিকের টাইটেল ট্র্যাকে বাঙালি গীতিকার ও সুরকার ও গায়িকাদের প্রভাব আলাদা করে নজর কাড়ছে ৷ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধায়ের তিনটি হিন্দি ধারাবাহিকের গানের সুর দিলেন দেবজ্যোতি মিশ্র। যেগুলির রচয়িতা চয়ণিকা দত্তগুপ্ত।
গানগুলি গেয়েছেন প্রান্তিক সুর এবং শালিনী মুখোপাধ্যায়। গানগুলি মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে এবং মুখে মুখে ফিরছে। সুতরাং হিন্দি ধারাবাহিকগুলিতে গানের জাদু ছড়াচ্ছেন বাংলার চারজন গুণী শিল্পী তা বলাই যায়। গান তিনটির একটি হল, 'দুর্গা' ধারাবাহিকে 'দিল কি রাহোঁ পে' শীর্ষক গানটি গেয়েছেন প্রান্তিক সুর, শালিনী মুখোপাধ্যায়। গান লিখেছেন চয়নিকা দত্তগুপ্ত। সুর দিয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
দ্বিতীয়টি 'ঝনক'-এ 'তনহা সা দিল মেরা' শীর্ষক গানটি গেয়েছেন প্রান্তিক, শালিনী মুখোপাধ্যায়। গান লিখেছেন চয়নিকা দত্তগুপ্ত। সুর দিয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। তৃতীয়টি 'রব রাখখা' ধারাবাহিকের 'রব রাখখা' শীর্ষক গানটিও গেয়েছেন প্রান্তিক ৷ কথা চয়নিকা দত্তগুপ্তর। সুর দেবজ্যোতি মিশ্রর।
তিনটি গানই এই মুহূর্তে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। শালিনী এবং প্রান্তিক দুজনেই দক্ষ শিল্পী। প্রান্তিক আঠারো বছর বয়স থেকে পেশাদারি গায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, "এগুলো সব সম্ভব হয়েছে শৈবালের কারণে।"
প্রান্তিক সুর বলেন, "দেবু দা আমাকে আমার নিজের মতো করে গান গাওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। বিশেষ করে দিল কি রাহোঁ পে-তে যেখানে আমি রোমান্টিভাবে রাজস্থানী লোকগানের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেছি। প্রতিবার আমি আমার শো'তে এই গানটি পরিবেশন করি। সারা ভারতে এবং বিদেশে, শ্রোতারা এই গানটির সঙ্গে এখন ভীষণ পরিচিত। অন্যদিকে, 'রব রাখখা' গানটি আমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এটির জন্য ক্লাসিক্যাল উপাদান এবং একটি আধুনিক শৈলীর সঙ্গে মিশ্রিত উপস্থাপনার প্রয়োজন ছিল। আর, 'তানহা সা দিল মেরা' গানটি প্যাথোসে ভরা এবং দেবু দা আমার পরিবেশনায় খুব খুশি হয়েছিলেন।"
শালিনী বলেন, “এই গানগুলো বানানোর সময়, দেবু দা'র সঙ্গে বসে গান গাইতে গিয়ে, কখনও ভাবিনি গানটা লক্ষাধিক মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। এখন যখনই আমি এই গানগুলো যখন যেখানেই গাই মানুষ আমার সঙ্গে সঙ্গে গাইতে থাকে। তাঁরা গানটির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা উজাড় করে দেন। এটা সম্ভব হয়েছে জন্য শৈবাল দা এবং দেবু দা'র জন্য।"