কলকাতা, 23 জানুয়ারি: 23 জানুয়ারি মুক্তি পেল 'বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান'। তার আগে সিনেমা নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে বিস্তর আড্ডা দিলেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় । কেন বিনোদিনী দেবীকে দিয়েই বাংলা সিনেমায় যাত্রা শুরু করলেন তিনি ? কেনই বা বিনোদিনীকে বেছে নিলেন প্রথম ছবির বিষয় হিসেবে, আর কেনই বা রুক্মিণী মৈত্রকেই বেছে নিলেন বিনোদিনী হিসেবে ? এহেন বহু প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় ।
বাংলার সিনেপ্রেমীদের একটু অন্য ধারার ছবি উপহার দিতে চেয়েছিলেন রামকমল মুখোপাধ্যায় । আর তাই 'বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান'। পরিচালক বলেন, "আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে বাংলা ছবি বানাতে চেয়েছিলাম যেটা হিন্দিতে করা যাবে না । বিনোদিনী তেমনই এক চরিত্র, যিনি একজন বাঙালি এবং সেই সময়ে তাঁর পাশাপাশি যাঁরা রয়েছেন তাঁরা এক একজন মহর্ষি । ফলে, তাঁদের ভাষা, তাঁদের ব্যাপ্তি বাংলাতে দেখানো ছাড়া অসম্ভব ।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ইতিহাসের ছাত্র । ঐতিহাসিক ছবি দেখতে আমি ভালোবাসি । ইতিহাসের কত গল্প, কত চরিত্র অপেক্ষা করে আছে পর্দায় আসার জন্য । কিন্তু বাংলায় কেন জানি না ইতিহাস নির্ভর ছবি বানানো বন্ধই হয়ে গিয়েছে । অথচ সেটা দক্ষিণী ছবিতে, হিন্দি ছবিতে চলছে । বাংলাতে যখন উত্তম-সুচিত্রার কমার্শিয়াল ছবি চলত, 'সপ্তপদী', 'হারানো সুর' যখন সিনেমা হলে চলছে, তখন কিন্তু অন্য ধারার ছবি 'সতীর দেহত্যাগ', 'বেহুলা লখিন্দর', ' রাজা রামমোহন রায়', 'ভগিনী নিবেদিতা'ও চলেছে পাশাপাশি । কোথায় গেল সেই চলটা ? মারাঠিতে প্রতি বছর দুটো করে শিবাজিকে নিয়ে ছবি হয় । কই কেউ তো বিরক্ত হয় না । তা হলে এখানে কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, বীণা দাসকে নিয়ে ছবি হবে না ? তাঁরা তো বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ৷"