নয়াদিল্লি, 14 জুন: পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম সহ্য করবে না কেন্দ্রীয় সরকার ৷ একই সঙ্গে এক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি পাওয়া গেলে জাতীয় পরীক্ষা সংস্থাকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক ৷ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শুক্রবার মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট (এনইইটি) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন ৷
নিট পরীক্ষায় ছ'টি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভুলভাবে বিতরণ করা হয়েছিল ৷ সেখানে প্রার্থীদের সময় নষ্ট করার জন্য গ্রেস মার্ক দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকার ৷ এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ জবাবদিহি কী হবে, তা স্থির করা হবে ৷ তার উপরই নির্ভর করবে বাকি বিষয়। ত্রুটি হলে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
পরীক্ষা পরিচালনা নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "কোনও পরীক্ষা পরিচালনায় কোনও প্রকার অনিয়মের সুযোগ নেই। আমরা তা বরদাস্তও করব না। ত্রুটি পাওয়া গেলে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকেও (এনটিএ) জবাবদিহিও করতে হবে ৷"
এদিকে কংগ্রেস নিট-ইউজি পরীক্ষা ইস্যুতে এনডিএ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে ৷ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'নীরবতা' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ৷ বিরোধী দল জোর দিয়ে জানিয়েছে, কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্ট-নিয়ন্ত্রিত ফরেনসিক তদন্ত লক্ষ লক্ষ তরুণ ছাত্রদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে পারে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন যে, মোদি সরকার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং এনটিএর মাধ্যমে 'নিট' কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ৷
খাড়গের কথায়, "তারা সবেমাত্র নির্বাচনে হেরেছে, এখন একটি নতুন ইস্যু খুঁজছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে ৷ ছাত্রদের বিভ্রান্ত করা এবং মিথ্যার উপর ভিত্তি করে জনসাধারণকে বোকা বানানো ঠিক নয় ৷" এই বছর শীর্ষ স্থান প্রাপ্ত এবং কাট-অফ মার্কের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে, ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, এনসিইআরটি দ্বারা যুক্তিযুক্ত পাঠ্যক্রম অনুসারে নিট-এর পাঠ্যক্রম হ্রাস করা হয়েছিল ৷
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আগের বছরগুলিতে, নিট সিলেবাস কাটা হয়নি ৷ এই বছর আমরা রাজ্য বোর্ডের সিলেবাসের সঙ্গেও প্রশ্নগুলি সারিবদ্ধ করেছি ৷ কম সিলেবাস এবং বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফলে প্রতিযোগিতার বৃদ্ধি এবং শেষ পর্যন্ত শীর্ষের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে ৷” (পিটিআই)