ওয়েনাড়, 23 নভেম্বর:প্রার্থী হিসেবে প্রথম নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারলেন তা জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে । কংগ্রেস শিবির তাঁর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। শচিন পাইলটের মতো তরুণ নেতারা কয়েক ধাপ এগিয়ে এখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন লোকসভায় দাদা রাহুল আর বোন প্রিয়াঙ্কা একযোগে ঝড় তুলেছেন। আর তাতে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপি ।
কংগ্রেসের স্বপ্ন
রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, লোকসভায় প্রিয়াঙ্কা আর রাহুলের দ্বৈরথ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম কেড়ে নেবে । এমন ভাবনা মোটেই অমূলকও নয় । উপনির্বাচনে সাধারণত শাসক-পক্ষই নির্বাচনে জয় পায় । সেদিক থেকে এগিয়ে প্রিয়াঙ্কা। তাছাড়া তাঁর প্রচার ঘিরে যে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে তাও বিরোধীদের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে ।
ভোটের হার
ওয়েনাড়ে ভোট পড়েছে প্রায় 65 শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় কিছুটা কম ৷ চলতি বছরের এপ্রিলে হওয়া লোকসভা নির্বানে 74 শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছিল ৷ সেবার প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ৷ এর আগে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে 80 শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল ৷ প্রার্থী ছিলেন রাহুলই ৷ তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনটিতে বোন প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস ৷
প্রিয়াঙ্কার চ্যালেঞ্জ
কম ভোট পড়া কংগ্রেস-সহ সকলের জন্যই ভাবনার বিষয়। হাত শিবির চায় প্রিয়াঙ্কাকে 5 লাখ বা তারও বেশি ভোটে জেতাতে। রাজীব-তনয়ার সংসদীয় জীবনের শুরুটা দারুণ হোক-এমনটা দলের সকলেই চাইছেন। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভোটদানের হার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য খুব একটা অবাক হচ্ছে না ভোটের এই হার দেখে । তাঁদের ব্যাখ্যা নির্বাচন মেটার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে আবার ভোটের লাইনে দাঁড়াতে ভোটাররা খুশি হন না । তারই প্রভাব পড়ছে ভোটদানের হারে ।
তবে আরও একটা জায়গা প্রিয়াঙ্কাদের ভাবাচ্ছে। পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনেই এই আসন থেকে জিতেছেন রাহুল । দু'বারই বড় ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। তবে 2019 সালের তুলনায় 2024 সালে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের প্রায় 5 শতাংশ কমেছে । এবার তিনি 6 লাখ 47 হাজার 455টি ভোট পান । গতবার তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল 7 লাখের চেয়েও বেশি। এটা অবশ্যই কংগ্রেসের কাছে চিন্তার বিষয়। তাছাড়া বিজেপি প্রার্থী নব্য হরিদাস এবং সিপিআই প্রার্থী ইভিএমে কতটা লড়াই দিতে পারেন সেটাও দেখার।