বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ), 2 সেপ্টেম্বর:প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে মেয়ে ৷ বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় মেয়ের মাথা ও হাত-পা কেটে ফেলল বাবা ৷ সম্মান রক্ষার্থে খুনের এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে ৷
মিহিনপুরা থানার মতিপুর এলাকায় প্রেমের সন্দেহে নিজের মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করেছে বাবা । প্রথমে মেয়ের মাথা কেটে ফেলেন ৷ তারপর তার হাত-পাও লাঠি দিয়ে মেরে ভেঙে ফেলেন ৷ এরপর তা কেটে আলাদা করা হয় । এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও নির্লিপ্ত অভিযুক্ত বাবা ৷ দেখা যায় মেয়ের মৃতদেহের পাশে নিশ্চিন্তে বসে রয়েছেন তিনি । খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।
মতিপুর থানা এলাকার লক্ষ্মণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঠী গ্রামের বাসিন্দা খুশবুর (18) সঙ্গে রায়বোঝা গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল । খুশবুর বাবা নঈম খান বিষয়টি জানতে পেরে তার প্রতিবাদ করেন । ওই যুবকের সঙ্গে মেয়েকে কথা বলতে বারণ করেন ৷ কিন্তু বাবার কথায় কান দেয়নি খুশবু ৷ এরপরও প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে থাকে । গ্রামবাসীদের থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই খুশবুর প্রেমিক গ্রামে এসেছিল । বাবা নঈম মেয়েকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বাসায় দেখে ফেলেন ৷ তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । বিষয়টি দেখতে পেয়ে যুবক পালিয়ে যায় ৷ এদিকে মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখে এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যার জন্য এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ৷
ঘরে রাখা চপার দিয়ে মেয়ের শিরচ্ছেদ করে দেন ৷ মাথা ও ধড় আলাদা করে দেওয়ার পরেও রাগ কমেনি ৷ এরপর তার হাত, পা ও শরীর কেটে ফেলে দেহ ঘরের দরজার বাইরে রেখে তার পাশে বসে পড়েন । নৃশংস ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে । খবর পেয়ে স্থানীয় থানার ওসি রাকেশ পান্ডে পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন । প্রথমে বাড়ির দরজায় বসে থাকা অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে ৷ পরে বিকৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।
এই ঘটনায় মতিপুর থানার ইনচার্জ রাকেশ পান্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নঈম খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।