গাজিয়াবাদ, 4 ডিসেম্বর: পুলিশের সঙ্গে একাই চলে যেতে পারতেন ৷ কিন্তু, যেতে দেওয়া হল না ৷ উত্তরপ্রদেশের সম্ভল যাওয়ার পথে দিল্লি-গাজিপুর সীমানা এলাকায় পুলিশি বাধার পর এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷
তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা হিসেবে এটা আমার মৌলিক অধিকার ৷ এই ভাবে বাধা দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয় ৷" একই কথা শোনা গেল তাঁর বোন তথা ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কার গান্ধির মুখেও ৷ প্রিয়াঙ্কার কথায়, "উনি সংসদীয় দায়িত্বে রয়েছেন ৷ সুতরাং, নির্যাতিতদের পরিবারের সঙ্গে তাঁর দেখা করার অধিকার রয়েছে ৷" কিন্তু, তারপরও তাঁদের পুলিশি বাধার মধ্য়ে পড়তে হয় কংগ্রেসের দুই সাংসদকে ৷
মুঘল জমানার জামা মসজিদে সমীক্ষা করা নিয়ে দিন কয়েক আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল ৷ পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা এলাকা ৷ ঘটনায় 5 জনের মৃত্য়ুও হয় ৷
এরপর ঘটনাটিকে কেন্দ্র শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷ এমনকী, শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন বিষয়টি নিয়ে শাসক-বিরোধী তর্কে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ৷ এই আবহে বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও নির্যাতিতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সম্ভল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদ ৷ দাদার সঙ্গে সম্ভল যাত্রার সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও ৷ কিন্তু, এদিন তাঁরা দিল্লি-গাজিপুর সীমানা এলাকায় এসে পৌঁছতেই বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে ৷
এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধি বলেন, "সম্ভলে ঠিক কী হয়েছে? এলাকার মানুষ কেমন আছেন? এই সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য আমরা সম্ভলে যেতে চাই ৷ কিন্তু, আমার মৌলিক অধিকার পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, দেশে সংবিধান মানা হয় না ৷ তবে আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব ৷" উল্লেখ্য়, পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে 10 ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্ভলে বিএনএসএস-এর 163 ধারা কার্যকর করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ৷ সেই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী 31 ডিসেম্বর করা হয়েছে ৷ আর তাই রাহুলের সফর নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা শুরু হয় ৷
রাহুল গান্ধিকে বাধা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদ পুলিশ কমিশনার এবং আমরোহা ও বুলন্দশহর জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি লেখেন সম্ভলের জেলা শাসক রাজেন্দ্র পেন্সিয়া ৷ এরপর, দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমানা এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয় ৷ মোতায়েন করা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ বাহিনীও ৷