রাঁচি, 22 অগস্ট: ভেঙে পড়া এয়ারক্রাফ্টের সন্ধানে তল্লাশি চালাবে ভারতীয় নৌসেনা ৷ 20 অগস্ট ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের এরোড্রোম থেকে একটি ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট রওনা দেয় ৷ তাতে একজন বিমানচালক এবং একজন শিক্ষানবিশ ছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পরেই এয়ারক্রাফ্টটি নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ সেই বিমানে থাকা একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে চান্ডিল জলাধারে ৷
এবার ভেঙে পড়া এয়ারক্রাফ্টের খোঁজে তল্লাশি চালাতে 19 সদস্যের একটি দল অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে জামশেদপুরে এসেছে রাত 12.50 মিনিট ৷ বৃহস্পতিবার নৌবাহিনী সূত্রে খবর, "বিশাখাপত্তনম থেকে নৌবাহিনীক একটি দল রাঁচিতে পৌঁছেছে ৷ তাঁরা ট্রেনার এয়ারক্রাফ্টটির সন্ধানে সাহায্য করবেন ৷ এই তল্লাশি অভিযানে যোগ দেবেন ৷"
মঙ্গলবার বিমানটি ওড়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই তা নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ সরকারি সূত্রের খবর, অনুমান করা গিয়েছিল চান্ডিল বাঁধের জলাধারেই কোথাও বিমানটি ভেঙে পড়েছে ৷ বৃহস্পতিবার সকালে সেই চান্ডিল বাঁধের জলাধারে এক ব্যক্তির দেহ ভাসতে দেখা যায় ৷ তাঁর দেহের একটি উর্দি রয়েছে ৷ তা দেখে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ট্রেনি এয়ারক্রাফ্টে থাকা দু'জনের একজন ৷
সেরাইখেলা-খারসাওয়ান প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, "আজ সকালে বাঁধের জলে একটি দেহ ভাসতে দেখা যায় ৷ তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে ৷ তাঁর গায়ের উর্দি থেকে মনে করা হচ্ছে তিনি ওই এয়ারক্রাফ্টে থাকা একজন ৷" ট্রেনি এয়ারক্রাফ্টে ছিলেন বিমানচালক ক্যাপ্টেন জিতু সুতারু এবং ট্রেনি পাইলট শুভ্রদীপ ৷ সেটি ওই বাঁধেই ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ বুধবার একটি 6 সদস্যের এনডিআরএফ দল ওই বাঁধে তল্লাশি চালায় ৷
সেসনা 152 ট্রেনি এয়ারক্রাফ্টটি অ্যালকেমিস্ট এভিয়েশনের ৷ সেটি মঙ্গলবার সকাল 11টা নাগাদ সোনারি এয়োড্রোম থেকে রওনা দেয় ৷ সেরাইখেলা-খারসাওয়ানের এসপি মুকেশ কুমার লুনায়াত জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা দাবি করে যে, ওই বাঁধে এয়ারক্রাফ্ট বিমানটি ভেঙে পড়েছে ৷ পূর্ব সিংভূমের ডেপুটি কমিশনার অনন্যা মিত্তালও জানিয়েছেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এয়ারক্রাফ্টের শেষ লোকেশন ছিল নিমডিহির কাছে চান্ডিল সাব-ডিভিশনে ৷