নয়াদিল্লি, 21 জুলাই: বিনা খরচে দেওয়া হোক ইন্টারনেট । এই মর্মে প্রাইভেট মেম্বার্স বিল এনেছিলেন রাজ্যসভার এক সিপিএম সাংসদ । এবার সেই বিল নিয়ে আলোচনায় রাজি হল কেন্দ্রীয় সরকার । ওই বিলে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কোনও নাগরিকের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া যাবে না । কারণ অর্থ দিতে হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন।
জানা গিয়েছে, কেরলের সিপিএম সাংসদ ভি শিবাদাসন গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই বিলটি এনেছিলেন। এরপর টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাজ্যসভার মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন । তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি ওই বিলের উপর চর্চার সম্মতি দিয়েছেন। সংসদের রীতি অনুযায়ী কোনও সাংসদ যদি এমন কোনও বিল আনেন যা আইনে পরিণত হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ খরচ হতে পারে, তাহলে তা নিয়ে আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন হয় ৷ এ ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে ৷
বিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা গিয়েছে ৷ ওই বাম সাংসদ মনে করেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সকলেরই পাওয়া উচিত। আর তাই তার জন্য টাকা নিলে চলবে না। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকায় যাঁদের বাস, তাঁদেরও এই সুযোগ পাওয়া উচিত । আর তাই সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া ৷
বিলের একটি অংশে মতামত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকারেরও উল্লেখ করা হয়েছে। সাংসদ মনে করেন, মতামত প্রকাশের অধিকারের ব্যাপ্তি আরও বাড়াতে সহায়ক হবে এই নয়া ব্যবস্থা। তাছাড়া ডিজিটাল দুনিয়াতেও যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বিনা খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সেই ব্যবধানও কমিয়ে আনবে ।
দেশের মানুষের কাছে এই সুযোগ কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই দিশাও রয়েছে বিলে ৷ সাংসদের দাবি, সরকার নিজেই বিনামূল্যে ইন্টারনেট দিতে পারে ৷ আর তা না করলে যে সমস্ত সংস্থা ইন্টারনেট দেয়, তাদের মাধ্যমে বিনা খরচে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা যেতে পারে ৷ শুধু তাই নয়, সাংসদ আরও চান কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করুক ৷ যার সাহায্যে রাজ্যগুলিও বিনা খরচে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারে ।