নয়াদিল্লি, 14 মার্চ: রাজ্য নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কোনও আইন প্রণয়ন করতে পারে না, সেই অধিকার তাদের নেই ৷ বৃহস্পতিবার সকালে পরিষ্কার জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এদিন একটি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন প্রণয়ন নিয়ে শাহ বলেন, "রাজ্যের সিএএ অস্বীকার করা বা না-মেনে চলার কোনও অধিকার নেই ৷" এদিকে এই আইন কার্যকর করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিলনাড়ু সরকার ৷
এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, "সংবিধানের 11 নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মকানুন প্রণয়নের ক্ষমতা কেবলমাত্র সংসদের ৷ এটা কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয় ৷ নাগরিকত্ব সম্পর্কিত আইন এবং সেই আইন কার্যকর করার বিষয়- এই দু'টিই সংবিধানের 246(1) অনুচ্ছেদে বলা আছে ৷ আর তা VII সূচিতে দেওয়া রয়েছে ৷ নাগরিকত্বের আবেদনে রাজ্যে এই ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারভিউ নেবে ৷ আমি জানি, নির্বাচনের পর সবাই সহযোগিতা করবে ৷ এখন তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে ৷ একজন থাকলে, তাকেও নাগরিকত্ব দেব ৷"
2019 সালের ডিসেম্বর সংসদের উভয় কক্ষে নাগরকিত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয় ৷ 2020 সালের জানুয়ারিত এই বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি ৷ আর এই আইন কার্যকর হয়েছে 2024 সালের 10 মার্চ, লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন বাকি থাকতে ৷ বিরোধী কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচারে সিএএ-কে হাতিয়ার করে জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে এই আইন কার্যকর হতে দেবে না ৷ কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন, 'ইন্ডিয়া' জোট ক্ষমতায় এলে এই কালো আইন বাতিল করবে ৷ এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, "তাঁরাও জানেন, 'ইন্ডিয়া' জোট ক্ষমতায় আসবে না ৷"
অমিত শাহ এই সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এই আইন এনেছে ৷ নরেন্দ্র মোদির সরকার এনেছে ৷ একে খারিজ করা অসম্ভব ৷ যাঁরা এই আইন বাতিল করতে চাইবে, তাঁরা কোনও জায়গা পাবে না ৷" নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, "সংবিধানের 14 নং অনুচ্ছেদে দু'টি বিষয় বলা হয়েছে ৷ ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন ৷"