সন্দেশখালি : 4 জুন: “মাথার উপরে আমাদের ক্যাপ্টেন আছেন। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাংলা জিতবেই।” বৃহস্পতিবার উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির আমফান দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের একথা বললেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সুন্দরবনের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার আগে শুভেন্দুর এই পরিদর্শন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ শুভেন্দু অধিকারী আকাশপথে বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন সংলগ্ন সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপর তিনি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া ফুটবল মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে ধামাখালিতে যান। তারপর লঞ্চে করে ক্ষতিগ্রস্ত ছোটো কলাগাছি, বড় কলাগাছি ও রায়মঙ্গল নদী প্রদক্ষিণ করে 10টি বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। কয়েকটি জায়গায় তিনি দুর্গতদের সঙ্গে কথাও বলেন। সঙ্গে ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত, সরবেড়িয়া আগারআটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহজাহান, উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা-সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের আগেই দুর্গত এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী
শুক্রবার আমফান দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার আগে সন্দেশখালির দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে এলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে।
![কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের আগেই দুর্গত এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী সুন্দরবন পরিদর্শনে শুভেন্দু অধিকারী](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-07:21-wb-n24p-01-ministersvisittosundarban-7203502-04062020185623-0406f-1591277183-925.jpg)
সাংবাদিকদের শুভেন্দুবাবু বলেন, "বসিরহাট মহকুমায় 149টা নদীবাঁধের কাজ অস্থায়ীভাবে শুরু হয়েছে । আগামী 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে । তারপর রাজ্য সরকারের আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে । পূর্ণিমার ভরা কোটাল শুরু হয়ে গিয়েছে । তাই প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে আগামী দিনে মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে বহু ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে ।" তারপরই তাঁর সংযোজন, "আমাদের দলের ক্যাপ্টেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তিনি বসিরহাটের দুর্গত এলাকায় আকাশপথে পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের 20 হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি আগামী দিনে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। বারবার বঙ্গোপসাগরেের উৎপত্তি হওয়া ঝড়ে সমুদ্র উপকূলে ধ্বংস করছে। আমি যেখানে থাকি সেই দিঘা, সেখানেও আছড়ে পড়েছিল আমফান। তারপর সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। আমাদের লড়াইটা এখন প্রকৃতির সঙ্গে। তাই বাংলাকে স্বাভাবিক করতে যা প্রয়োজন সে লড়াই আমরা করে যাচ্ছি। আমফানের 15 দিনে পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আপনারা তো জানেন, একদিকে কোরোনা, অন্যদিকে আমফানে বিপর্যস্ত বাংলা। আমাদের এই লড়াইতে জিততেই হবে।''
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি-হিঙ্গলগঞ্জের আমফান দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবে। তার আগে পরিবহনমন্ত্রী সেই এলাকাগুলিই বুড়ি ছোঁয়া করে গেলেন।