মুর্শিদাবাদ, 31 মে : ব্যাক্তির মাথা খারাপ নাকি গ্রামের সালিশি সভার এমন নিদান তা বোঝা কঠিন । মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত ময়ুরাক্ষী নদীর মাঝে অবস্থিত চৌতপুর বেলতলা শ্মশানে ছাড়ানো হচ্ছে ভূত ! আর এই ভূত ছাড়াচ্ছেন শ্মশানে থাকা এক বাবাজী (Murshidabad man performs exorcism) ।
রবিবার বাবার দরবারে বছর পঁয়ত্রিশ-এর ব্যক্তি রাজু দাসকে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোক। কী কারণে তাঁকে নিয়ে এলেন ? কারণ হল কান্দি শহরের ভোলানাথ পাড়ার বাসিন্দা এই রাজুর উপর নাকি আত্মা ভড় করেছে তাও আবার একটি নয় দুটি প্রেতাত্মা ৷ এখানেও আবার রয়েছে ভাগ ৷ পুরুষ নয় মহিলা প্রেতাত্মা! একটির নাম রানি শেখ ও অপরটি সুস্মিতা রায়।
দুই মৃত মহিলার আত্মা শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই পরিবারে ও বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাজুর পরিবার ৷ অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে রাজুকে নিয়ে আসা হয়েছে 'ভূত' ছাড়াতে। কথিত আছে, ময়ূরাক্ষী নদীর মধ্যে অবস্থিত বড়ঞা থানার চৌতপুরের এই সন্ন্যাসী তলায় নাকি অশরীরী আত্মাদের পীঠস্থান! আর এখানেই বসবাস করা নানু সাধুর মন্ত্র পড়া জল ও মন্ত্রের জোর নাকি এতটাই যে কোনও অশরীরী আত্মা তার সঙ্গে পেরে উঠতে পারে না ৷
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত ময়ুরাক্ষী নদীর মাঝে অবস্থিত চৌতপুর বেলতলা শ্মশানে ছাড়ানো হচ্ছে ভূত আরও পড়ুন :ডাইনি সন্দেহে বেধড়ক মারধর, জোর করে মূত্রপান
শেষমেশ পরাজয় স্বীকার করে নিজ স্থানে ফিরে যায় ৷ আর রবিবার অর্থাৎ গতকাল দেখা গেল তেমনি কাণ্ড। রাজু দেহের ভিতরে ভর করা দুটি অশরীরী আত্মাকে টেনে বের করে কার্যত মুখে জুতো দিয়ে বট গাছের তলায় ছেড়ে দিল ওই সাধু বাবা। বিজ্ঞানের যুগে একদিকে যেমন এসব কুসংস্কার ভুলেই গ্রাহ্য হয় তেমন অপরদিকে গ্রামে-গঞ্জের এমন কাণ্ডে হতভম্ব অনেকেই ।