জলপাইগুড়ি, 29 জুন: তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর ৷ পাশাপাশি, সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ এলাকার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দফতরের তরফে ৷
জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর গাজোলডোবা ব্যারাজ থেকে 1 হাজার 831.14 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷ এর ফলে মেখলিগঞ্জে তিস্তা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইবে ৷ সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি বিপদ আরও বাড়িয়েছে ৷
গাজোলডোবা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার ফলে, সমতলে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে ৷ তিস্তা নদীতে জল বাড়ার ফলে সংলগ্ন লালটং বস্তি, চাপাডাঙা ও পদমতির নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ সেই সঙ্গে দোসর হয়েছে পাহাড়ের বৃষ্টি ৷ লাগাতার বৃষ্টির জেরে গাজলডোবা ব্যারাজে জলের চাপ বাড়ছে ৷ ফলে প্রতিনিয়ত ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷ বৃষ্টির পরিমাণ না-কমলে, আগামী সময়ে আরও জল ছাড়তে হতে পারে গাজোলডোবা ব্যারাজ থেকে ৷ সেক্ষেত্রে জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তার জলে প্লাবিক হতে পারে ৷
তার উপরে বাংলাদেশের দিকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বাঁধ দেওয়ার কারণে, ভারতীয় ভূ-খণ্ডে প্লাবনের আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল সেচ দফতর এবং বিএসএফ ৷ তার উপর অতিবৃষ্টির কারণে তিস্তার জল স্তর বেড়ে যাওয়ায় বিদপ আরও বেড়েছে ৷
জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তিস্তা নদীর লোয়ার ক্যাচমেন্টে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে ৷ দার্জিলিং জেলার সেবকে বৃষ্টি হয়েছে 197.6 মিলিমিটার, কালিম্পংয়ে 82.4 মিলিমিটার, বাগরাকোটে 78.0 মিলিমিটার, গাজোলডোবায় 72.6 মিলিমিটার ও নেওড়াতে 97.4 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের বক্সাদুয়ারে এদিন সর্বাধিক 223.8 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ হাসিমারাতে 91.6 মিলিমিটার, বারোবিশাতে 87.2 মিলিমিটার, কুমারগ্রামে 70.0 মিলিমিটার ও শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে 71.8 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷