কলকাতা, 29 জুন: উচ্ছেদ হওয়া হকাররা বিক্ষোভ দেখালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে ৷ শনিবার সন্ধ্যায় হকাররা চেতলায় কলকাতার মেয়রের বাড়ির সামনে জমায়েত করেন ৷ এই হকাররা মাঝেরহাট ব্রিজের উলটো দিকে স্টেশনের আশপাশে হকারি করতেন ৷ তবে তাঁদের দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ৷
সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমি হকার-মুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশ অনুযায়ী 24 জুন সকাল থেকে মাঝেরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হকার উচ্ছেদ অভিযান চলে ৷ এরপর ফের 27 জুন এই উচ্ছেদ অভিযান হয় ৷ ওখানকার সব দোকান থেকে শুরু করে গুমটি ভেঙে দেয় পুলিশ ৷ সেখানে কয়েকজন অস্থায়ীভাবে বাস করত । তাঁদেরও ঝুপড়ি থেকে শুরু করে ঘরের উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হয় ৷
এই সময় এলাকার হকার এবং ঝুপড়িবাসীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের এই এলাকায় বসার অধিকার দিয়েছেন খোদ কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ববি হাকিম ৷ 2018 সালে 4 সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে ৷ সেই সময় এই হকারদের মাঝেরহাট ব্রিজের উলটো দিকে মাঝেরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বসানোর ব্যবস্থা করেন ফিরহাদ হাকিম ৷ এদিকে আদালতের নির্দেশে হকার উচ্ছেদ হলেও সেখানে তাঁদের পাশে দাঁড়াননি মেয়র তথা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ ৷ এই অভিযোগে এদিন সন্ধ্যায় চেতলায় তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে জড়ো হয় হকাররা ৷ সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান ৷ তবে তাঁরা খুব বেশিক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে পারেননি ৷ দ্রুত তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গত সোমবার, 24 জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার বিভিন্ন হকার জোনগুলিতে হকার উচ্ছেদের নির্দেশ দেন ৷ এরপর টানা কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হকার উচ্ছেদ চলে ৷ কলকাতায় গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেট-সহ নানা জায়গায় হকার উচ্ছেদ করে কলকাতা পুরনিগম ও পুলিশের যৌথ দল ৷ 27 জুন মুখ্যমন্ত্রী এই হকার উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন ৷ হকারদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করে দেন ৷ শুক্রবার থেকে কলকাতা পুরনিগম সার্ভে শুরু করে ৷