500 বছর পুরনো 'রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো' - Durga Puja 2024 - DURGA PUJA 2024
🎬 Watch Now: Feature Video
Published : Oct 4, 2024, 3:25 PM IST
500 বছর আগে বাংলাদেশের বণিকরা বাণিজ্য করতে এসে তাঁদের নৌকা বা বজরা নোঙর করতেন কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে। সেই বণিক সমাজের এক সওদাগর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে কুলিক নদীর ধারে রাইগঞ্জ বন্দরে প্রচলন করেছিলেন দুর্গাপুজার। সেই পুজো আজ রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকার বাসিন্দাদের 'রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো' হিসেবে পরিচিত। সাধারণ মানুষ থেকে এলাকার ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিয়ে এই পুজোর ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন।
অধুনা বাংলাদেশের বণিক সমাজ বড় বড় নৌকা আর বজরা নিয়ে বাণিজ্য করতে এসে নোঙর করতেন রায়গঞ্জের বন্দর কুলিক নদীর ঘাটে। কথিত আছে তাঁরাই রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের প্রচলন করেছিলেন। এরপর কুলিক নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দেশ ভাগ হয়ে এপার বাংলা ওপার বাংলা হয়েছে। এখন আর কুলিকের জলে ভাসে না বাংলাদেশের বণিকদের বজরা। আসে না বাংলাদেশের বণিকরাও। কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি বণিকদের প্রচলন করা সেই দুর্গাপুজো। এলাকার বাসিন্দারাই চাঁদা তুলে সর্বজনীনভাবে দুর্গাপুজো করে চলেছেন।
500 বছরের পুরনো সেই একি কাঠামোটি আজও দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করা হয়ে থাকে। মৃৎশিল্পী এসে এই মন্দিরের মধ্যেই মা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেন। রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির কর্মকর্তা রূপেশ সাহা জানান, তাঁদের সাত পূর্বপুরুষও জানাতে পারেননি এই পুজোর বয়স কত। তবে এখানকার দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত নিয়মনিষ্ঠা করে পুজো করা হয় এখানে। কেউ বলে 500 বছরের পুরনো এই পুজো ৷ আবার কেউ বলে 600 বছর পুরনো পুজো। মহাষ্টমীতে হাজার হাজার ভোগের ডালা পড়ে এই মন্দিরে। পুজোর প্রচলন নিয়ে নানা মত রয়েছে।" হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে বন্দর আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। বিকাশ সাহা নামের এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পুজোর চারটে দিন আমাদের আনন্দের মধ্য দিয়ে কেটে যায় ৷