নয়াদিল্লি, 2 মার্চ: ভারতে কোনও আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স বা এআই মডেল চালু করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে ৷ শনিবার এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ৷ তিনি জানান যে 2021 সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন অনেক প্ল্যাটফর্মেই মানা হচ্ছে না ৷ ডিপফেক রুখতে ও এআই-এর অপব্য়বহার আটকাতে গত ডিসেম্বরে একটি নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয় ৷ সেটাও যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আবারও বলা হল কেন্দ্রের তরফে ৷ তাছাড়া কেন্দ্রের তরফে এ দিন আরও জানানো হয়েছে যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে এআই এর মাধ্যমে তৈরি পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্যমূলক কোনও কিছু অনুমতি দেওয়া হবে না ৷
কেন্দ্রের তরফে এ দিন জানানো হয়েছে যে নতুন নির্দেশিকা মেনে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে হবে ৷ আর এই নিয়ে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে আগামী 15 দিনের মধ্যে জমা করতে হবে ৷ মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, "সাম্প্রতিক গুগল জেমিনি এআই বিতর্কের পরে এই নির্দেশিকা বিশেষভাবে এআই-এর জন্য ৷ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে এবং এই এআই মডেলগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে বলে দায় এড়ানো যাবে না ৷"
তিনি আরও জানান, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এআই নিয়ে আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে ফেলতে হবে ৷ তার পর সরকারের অনুমতি নিতে হবে ৷ আর ব্যবহারকারীদেরও অবগত করতে হবে যে এআই ব্যবহারে ত্রুটি তৈরি হতে পারে ৷ নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সমস্ত প্ল্যাটফর্ম, যেগুলি এআই বা এলএলএম বা জেনারেটিভ এআই, সফ্টওয়্যার বা অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহার করে, তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ব্যবহারকারীদের এই ধরনের কন্টেন হোস্ট, প্রদর্শন, আপলোড, মডিফাই, পাবলিশ, ট্রান্সমিট, স্টোর, আপডেট বা শেয়ার করার অনুমতি দেয় না । আইটি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলি যাতে লঙ্ঘন না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে ৷
কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন, "এটা আবার বলা হচ্ছে যে আইটি আইন অথবা আইটি বিধিগুলির নিয়ম মেনে না চলার ফলে মধ্যস্থতাকারী বা প্ল্যাটফর্ম বা এর ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করা হলে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ৷ এটা তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ৷ এর মধ্য়ে ফৌজদারি আইন-সহ আরও কয়েকটি আইন রয়েছে ৷’’
আরও পড়ুন: