ETV Bharat / state

পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত বারাসত ! পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপি নেতা - Barasat Repolling

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 3, 2024, 1:07 PM IST

Updated : Jun 3, 2024, 3:43 PM IST

Barasat Repolling: পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত বারাসত ৷ ভোটারদের উৎসাহ যোগাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা কাশেম আলি ৷ তাঁকে কেন্দ্র করেই ছড়াল উত্তেজনা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি নেতাকে এলাকা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে ৷

Barasat Repolling
পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালো বিজেপি নেতা (নিজস্ব চিত্র)

বারাসত, 3 জুন: ভয়ে, আতঙ্কে সকাল থেকেই বুথমুখী হচ্ছিলেন না ভোটারদের একাংশ । তাঁদের সাহস যোগাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা কাশেম আলি ৷ তাঁর উপস্থিতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কদম্বগাছির সরদার পাড়া এলাকায় । বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাক ডাক দিয়ে ভোটারদের বুথমুখী করার চেষ্টা করতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন তিনি। শুরু হয় বচসা। তুমুল বাকবিতণ্ডায় পরিস্থিতি ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা । শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে ধাক্কা দিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে পুনর্নির্বাচনের দিনও সরগরম হয়ে ওঠে বারাসত লোকসভার কদম্বগাছির 61 নম্বর বুথ চত্বর ।

পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত বারাসত (ইটিভি ভারত)

কমিশনের নির্দেশে সোমবার বারাসত লোকসভায় চলছে পুনর্নির্বাচন ৷ ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই সকাল থেকে বুথ চত্বর কার্যত ছিল ফাঁকা । যদিও বেলার দিকে আতঙ্ক কাটিয়ে ভোটারদের একাংশ বুথমুখী হলেও সেই সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুটমার্চ করিয়েও ভোটারদের আস্থা পুরোপুরি ফেরাতে পারেনি কমিশন । এই পরিস্থিতিতে সরদার পাড়ায় ছুটে গিয়ে ভোটারদের অভয় দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাশেম আলি । তিনি বুথ সংলগ্ন সরদার পাড়া গ্রামে ঢুকে ভোটারদের হাক ডাক শুরু করতেই তা নজরে পড়ে পুলিশের। তাঁকে নিষেধ করা হলেও পুলিশের কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি কাশেম বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে এলাকার বাইরে বের করে দেয়।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা ৷ হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ অবশেষে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি নেতা কাশেম আলি । ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি । কাশেম বলেন, "এখানে ভোটাররা ঠিক মতো ভোট দিতে পাচ্ছেন না । এই খবর পেয়েই গিয়েছিলাম সরদার পাড়াতে । কিন্তু পুলিশ ধাক্কা দিতে দিতে বাইরে বের করে দিল । পুলিশ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস । চটি-চাটি পুলিশের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না । পুলিশই তো ভোটারদের বাধা দিচ্ছে । যাতে তাঁরা ভোট দিতে না পারে । এসব করে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের পরাজয় ঠেকানো যাবে না । এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয় অবশ্যম্ভাবী ।"

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছির 61 নম্বর বুথের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও এই বিজেপি নেতা গ্রামের ভিতরে ঢুকে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন । সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ এর বাইরে কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি পুলিশের ।

বারাসত, 3 জুন: ভয়ে, আতঙ্কে সকাল থেকেই বুথমুখী হচ্ছিলেন না ভোটারদের একাংশ । তাঁদের সাহস যোগাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা কাশেম আলি ৷ তাঁর উপস্থিতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কদম্বগাছির সরদার পাড়া এলাকায় । বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাক ডাক দিয়ে ভোটারদের বুথমুখী করার চেষ্টা করতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন তিনি। শুরু হয় বচসা। তুমুল বাকবিতণ্ডায় পরিস্থিতি ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা । শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে ধাক্কা দিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে পুনর্নির্বাচনের দিনও সরগরম হয়ে ওঠে বারাসত লোকসভার কদম্বগাছির 61 নম্বর বুথ চত্বর ।

পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত বারাসত (ইটিভি ভারত)

কমিশনের নির্দেশে সোমবার বারাসত লোকসভায় চলছে পুনর্নির্বাচন ৷ ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই সকাল থেকে বুথ চত্বর কার্যত ছিল ফাঁকা । যদিও বেলার দিকে আতঙ্ক কাটিয়ে ভোটারদের একাংশ বুথমুখী হলেও সেই সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুটমার্চ করিয়েও ভোটারদের আস্থা পুরোপুরি ফেরাতে পারেনি কমিশন । এই পরিস্থিতিতে সরদার পাড়ায় ছুটে গিয়ে ভোটারদের অভয় দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাশেম আলি । তিনি বুথ সংলগ্ন সরদার পাড়া গ্রামে ঢুকে ভোটারদের হাক ডাক শুরু করতেই তা নজরে পড়ে পুলিশের। তাঁকে নিষেধ করা হলেও পুলিশের কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি কাশেম বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে এলাকার বাইরে বের করে দেয়।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা ৷ হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ অবশেষে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি নেতা কাশেম আলি । ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি । কাশেম বলেন, "এখানে ভোটাররা ঠিক মতো ভোট দিতে পাচ্ছেন না । এই খবর পেয়েই গিয়েছিলাম সরদার পাড়াতে । কিন্তু পুলিশ ধাক্কা দিতে দিতে বাইরে বের করে দিল । পুলিশ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস । চটি-চাটি পুলিশের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না । পুলিশই তো ভোটারদের বাধা দিচ্ছে । যাতে তাঁরা ভোট দিতে না পারে । এসব করে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের পরাজয় ঠেকানো যাবে না । এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয় অবশ্যম্ভাবী ।"

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছির 61 নম্বর বুথের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও এই বিজেপি নেতা গ্রামের ভিতরে ঢুকে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন । সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ এর বাইরে কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি পুলিশের ।

Last Updated : Jun 3, 2024, 3:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.