কলকাতা, 2 জানুয়ারি: 'সেক্স এডুকেশন' থেকে শারীরিক শিক্ষার প্রসার, সমাজকে ভয়মুক্ত করতে ও পড়ুয়াদের মনোবল বাড়াতে স্কুলে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ- এরকম একাধিক বিষয়ে বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরি করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএফআই ৷
তাদের অভিযোগ, একদিকে যেমন রাজ্যে স্কুল ছুট বেড়েছে তেমনি সমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আরএসএস-এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি স্কুল। তাতে পঠন-পাঠনের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এগুলিকে একমাত্র সরকারই মোকাবিলা করতে পারে। আরজি কর-সহ গত কয়েক বছরে ঘটে চলা একাধিক ঘটনায় ছাত্র সমাজের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই ভয় একমাত্র সরকারই কাটাতে পারে। তাই, শিক্ষার পরিবেশের পুরুদ্ধারের জন্য "রিক্লেম এডুকেশন" স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যের স্কুল-কলেজে পৌঁছবে তারা। তার আগে চলতি মাসের শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাতে এই বিকল্প শিক্ষানীতির খসড়া তুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, গোটা দেশে স্কুলে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা 37 লক্ষ কমেছে। রাজ্যেও স্কুল ছুট বাড়ছে। বহু স্কুল বাড়ি হানাবাড়ির মতো পড়ে আছে। বিখ্যাত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন খালি পড়ে থাকছে। দমদম মতিঝিল কলেজে কেমিস্ট্রি বিভাগে মাত্র 18 জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এরকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে। আমরা এর আগে বহুবার রাস্তায় নেমেছি স্কুল বন্ধের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় "রিক্লেম এডুকেশন" স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যের স্কুল-কলেজে পৌঁছব। আমরা বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরি করেছি। এবার তা সরাসরি স্কুল, অভিভাবক, শিক্ষকদের মতামত নেব। তাঁদের জন্য ওপেন ডেস্ক থাকবে মতামত জানাবার জন্য।"
তাঁর আরও বক্তব্য, "স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত কমাতে হবে। স্কুলে স্কুলে জামায়াতের সময় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করাতে হবে। সিলেবাসে সংবিধানের মূল বিষয়গুলি নিয়ে পড়াতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যে, চিঠি পাঠিয়েছি। আবারও শিক্ষা দফতরকে পাঠাব। স্কুলে স্কুল শারীরিক শিক্ষা, কর্মশিক্ষায় জোর দিতে হবে। ভয় মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে মনোবিজ্ঞান চর্চায় জোর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।"