ব্যারাকপুর, 2 জানুয়ারি: হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচীর উপর ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বেলঘরিয়ার রথতলায় ৷ আদালত থেকে ব্যারাকপুরের বাড়িতে ফেরার সময় দু'জন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী বিজেপি নেতার গাড়িতে প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করে অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও কৌস্তভের নিরাপত্তারক্ষীর চিৎকারে ওই দুষ্কৃতীরা বিটি রোড ধরে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় ৷
ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে গাড়ি নিয়ে সোজা বেলঘরিয়া থানায় পৌঁছন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী ৷ তাঁর অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে গড়িমসি করলেও পরে তিনি তা নিতে বাধ্য হন ৷ তবে, অভিযোগ নিলেও এফআইআর নম্বরের কপি দিতে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ তাঁকে থানায় বসিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন কৌস্তভ ৷ গোটা ঘটনাটি তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে ফোনে জানিয়েছেন ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় আদালতে থেকে গাড়িতে ব্যারাকপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন বিজেপির আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী ৷ বিটি রোড ধরে যাওয়ার সময় বেলঘরিয়ার রথতলায় ক্রসিংয়ের সিগন্যালে আটকায় তাঁর গাড়ি ৷ তখনই বিকট আওয়াজ শুনতে পান কৌস্তভ ৷ গাড়ি থেকে তিনি লক্ষ করেন, দু'জন হেলমেটবিহীন যুবক বাইকে করে কামারহাটি পুরসভার রাস্তার দিকে পালিয়ে যাচ্ছে ৷ ওই দুই দুষ্কৃতীর হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি ৷
এই প্রসঙ্গে কৌস্তভ বলেন, "আমার উপর প্রাণঘাতী হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাদের ৷ যেহেতু বরাবর আমি সরকার বিরোধী মন্তব্য এবং শাসকদলের সমালোচনা করে এসেছি ৷ সেহেতু তাদের রাগ রয়েছে আমার উপর ৷ আজকেও আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তাঁর বিরোধিতা করেছি ৷ সেই কারণেই শাসকদল এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷" তাঁর গাড়ির পিছনের কাচে আঘাত করা হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা লজ্জাজনক বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ ৷ এফআইআর নম্বর না দেওয়া পর্যন্ত থানা ছাড়বেন না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা ৷
যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি ৷ সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও প্রাথমিকভাবে কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তবুও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ৷ কৌস্তভের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।