মহিষাদল, 2 জুলাই: মধুচক্রে টাকা নিয়ে বচসার জের ৷ দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে মারধরের অভিযোগ উঠল মধুচক্রের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধেতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার কাপাসেড়িয়া রাজারামপুর এলাকায় । ঘটনার খবর পেয়েই মহিষাদল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তবে এই ঘটনায় এখনও মধুচক্র ব্যবসায়ীদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ।
অভিযোগ, এই দিন দুই সিআরপিএফ জওয়ান সিভিল ড্রেসে টোটোতে করে রাজারামপুর এলাকায় মধুচক্রে গিয়েছিলেন । সেখানে টাকা পয়সা নিয়ে মধুচক্রের মালিকদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাঁধে । তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সিআরপিএফ দুই জওয়ানের সঙ্গে মধুচক্রের ব্যবসায়ীরা । ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে সেখান থেকে উদ্ধার করে । তাঁদের স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয় ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দকুমারের দিক থেকে তেরপেখ্যা হয়ে নন্দীগ্রামের দিকে যাওয়ার কথা ছিল ওই দুই জওয়ানের । কিন্তু পথে দুই জওয়ান কেপাসেড়িয়ার রাজারামপুরের কাছে নেমে পড়েন । তারপর মধুচক্রের আসরে চলে যান । সেখানেই তাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে এবং হাতাহাতি শুরু হয় । এর জেরে সিআরপিএফের দুই জাওয়ান আহত হয়েছেন ।
এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদ হোসেন ক্ষোভ উপড়ে দেন পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে । তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে এনএইচ 41 কোলাঘাট থেকে হলদিয়া রাস্তার পাশে রাজারামপুর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে মধুচক্র । এর জেরে চুরি ছিনতাই রাহাজানির মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে । এই নিয়ে আমরা আগেই অভিযোগ তুলেছিলাম । কিন্তু আজ হাতেনাতে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ।"
তাঁর কথায়, "আজকে দুই সিআরপিএফ জওয়ান সিভিল ড্রেসে ঘুরতে এসেছিলেন । তাঁদের ধরে ছিনতাই করে নিয়েছে ওই মধুচক্রের ব্যবসায়ীরা এবং তাদের মারধর করেছে । যে টোটো চালক তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল তিনি এসে আমাদের খবর দেন ৷ এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআরপিএফদের উদ্ধার করি । আমরা যদি না জেতাম তাহলে তাঁদের হয়তো খুন করে দিত । পুলিশ প্রশাসনকে দীর্ঘদিন অভিযোগ করেছি ৷ তবে পুলিশ প্রশাসন কোনও হস্তক্ষেপ করছে না । আমরা বারংবার পুলিশে জানিয়েছি । এরপরে কিন্তু আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ।"