কলকাতা, 16 মে: বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে এখনই কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে সাফ জানাল হাইকোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ ৷ পাশাপাশি পিয়ালি দাসের মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর রেগুলার বেঞ্চেই ফেরত পাঠালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এদিন, মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত এই বিষয়ে নিম্ন আদালতে কোনও প্রক্রিয়া করা যাবে না। জেল হেফাজতে থাকাকালীন মাম্পি তথা পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে একটি ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় রাজ্য। আগামিকাল পর্যন্ত নিম্ন আদালতে সেই আবেদন কার্যকর করা যাবে না বলে নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সন্দেশখালিতে তিনি স্থানীয় এক মহিলাকে দিয়ে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ লিখিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় বসিরহাট আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে পুলিশ তাঁকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পিয়ালি।
তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, প্রথমে সব জামিনযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি জামিন চাইতে গেলে, পুলিশ শেষ মুহূর্তে জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে। এরপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেত্রী ৷ এদিন, বিচারপতি অমৃত সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, পিয়ালির বিরুদ্ধে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য ৷ এরপর আদালতকে এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো ৷ এই মর্মে ভাইরাল হওয়া বিজেপি নেতার ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি ৷ তারপরে সামনে আসে আরও একটি ভিডিয়ো ৷ যেখানে সন্দেশখালির বেশ কিছু মহিলা দাবি করেন টাকার বিনিময় ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছিল ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে এই ঘটনায় বিজেপিকে নানা ভাষায় বিঁধেছে শাসক দল তৃণমূল ৷ এরপরই পিয়ালী-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ।
আরও পড়ুন