জলপাইগুড়ি, 17 জুলাই: কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগে একাধিক সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছিল অবৈধ রিসর্ট ৷ মঙ্গলবার গাজোলডোবা এলাকার একাধিক অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালালো প্রশাসন ৷ কয়েকদিন আগেই শিলিগুড়ির পুরনিগমের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মার সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়েছিল ৷ শিলিগুড়ির ভোরের আলো থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গজলডোবার বিভিন্ন এলাকায় দখল মুক্তের নামে রাজগঞ্জ বিডিও ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকরা ৷
শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল নয়, গজলডোবা এলাকার একাধিক সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই গজলডোবা এলাকায় দখল হয়ে থাকা সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে প্রশাসন। এদিকে রিসর্টের ভাঙার পরই কর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।রিসর্ট না-থাকলে রুজি-রুটি বন্ধ হয়ে যাবে ৷ পরিবারের সদস্যদের অন্ন সংস্থান থেকে সংসার চালবে কীভাবে, তা জানেন না ৷
সরকারি জমিতে বেআইনি রিসর্ট উচ্ছেদের অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন ৷ কয়কেদিন আগেই গাজোলডোবার বিজেপি নেতা উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জমির কাগজ দেখানোর পর তাঁকে জামিন দেন আদালত। তবে মঙ্গলবার তাঁর হোটেলও ভাঙতে আসে প্রশাসন এমনটাই দাবি উত্তম রায়ের ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "আমি বিজেপি করি বলেই এমন অত্যাচার করা হচ্ছে ।" আমার বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারি জমি দখল গজিয়ে ওঠা রিসর্ট ভেঙে ফেলার অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব দফতরকে দিয়ে সমীক্ষা চালানোর পর অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করছে জেলা প্রশাসন। এরপর বুধবার রাজগঞ্জের বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব আধিকারিকরা অভিযান নামেন। সেই অভিযানে মঙ্গলবার গাজলডোবায় সরকারি জমি দখলমুক্ত করল রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, "সরকারি জমিতে রিসর্ট বা অবৈধ নির্মাণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যে সমস্ত সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ গড়া হয়েছে সবই ভাঙা হবে ৷"