সাদা চুলকে সাধারণত বার্ধক্যের লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় ৷ তবে আজকাল প্রায়শই দেখা যায় বয়সের আগেই সাদা চুল হয়ে যাচ্ছে । যাইহোক, এটি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ । সর্বোপরি, কী কী কারণে চুল বয়সের আগেই সাদা হতে শুরু করে এবং এই সমস্যা কি এড়ানো যায় ?
চুলের অকালে পাকা হয়ে যাওয়া একটি খারাপ জীবনধারার কারণে হতে পারে । অবনতিশীল জীবনযাত্রার কারণে, স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি হয় ৷ যারমধ্যে চুল পাকাও হয় । প্রতিদিনের এমন অনেক অভ্যাস আছে যার কারণে চুল দ্রুত সাদা হতে শুরু করে । তবে এই অভ্যাসগুলিকে উন্নত করে আমরা এই সমস্যা থেকে নিজেদের বাঁচাতে কিছু জিনিস মেনে চলা প্রয়োজন ।
এন আই এইচ-এর তথ্য অনুযায়ী, চুল পেকে যাওয়ার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন প্রজাতির (ROS) ভূমিকা সবচেয়ে বেশি অধ্যয়ন করা হয়েছে । সক্রিয় বৃদ্ধির পর্যায়ে অর্থাৎ অ্যানাজেন পর্যায়ে চুলের ফলিকলে সক্রিয় মেলানোজেনেসিস থাকে । এতে টাইরোসিনের হাইড্রোক্সিলেশন এবং মেলানিনে ডাইহাইড্রোক্সিফেনিল্যালানিনের অক্সিডেশন জড়িত যা প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে । অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রভাবের ব্যর্থতা মেলানোসাইটের ক্ষতি করতে পারে যার ফলে পিগমেন্টেশন কমে যায় । যারফলে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যায় ৷
অকালে চুল পাকা হওয়ার কারণ
স্ট্রেস এবং উদ্বেগ: বর্তমান ব্যস্ত জীবনে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ সাধারণ হয়ে উঠেছে । এই দুটিই চুল তাড়াতাড়ি পাকা হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের অভাবও চুলের ক্ষতি করে ।
ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে ৷ যা চুল পাকাতে ভূমিকা রাখে ।
পরিবেশ দূষণ: দূষণ চুলের ক্ষতি করে এবং অকালে পাকা হয়ে যায় ।
জিনগত কারণ: কিছু মানুষের মধ্যে, জেনেটিক কারণেও চুল তাড়াতাড়ি পাকা হতে পারে ।
কিছু ধরনের ওষুধ খাওয়া: কিছু ওষুধের কারণে চুল পাকা হতে পারে ।
কীভাবে চুলের অকাল পাকা হওয়া এড়ানো যায় ?
মানসিক চাপ কমানো প্রয়োজন: যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন: ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো ।
পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন: প্রতিদিন অন্তত 7 থেকে 8 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন ৷
পরিবেশ দূষণ এড়িয়ে চলুন: দূষিত এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন ।
চুলের যত্ন নিন: নিয়মিত চুল ধুয়ে নিন এবং ভালো সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন । খুব বেশি সমস্যা হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)