সন্দেশখালি, 17 মার্চ: ভোটের মুখে নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি ৷ এবার শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দারা ৷ গ্রামের রামপুর বাজার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ওই তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন তাঁরা ৷ প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ ৷ ওই তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার, সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি এবং মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ৷
বেড়মজুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোলা, তৃণমূল নেতা হাশেম মোল্লা এবং জুলফিকার মোল্লা- এই তিনজনকেই গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। তাঁদের উপর প্রতিনিয়ত এই তিন নেতা অত্যাচার চালাত বলেও অভিযোগ ৷ এদের বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন এমনকী সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে ৷ হকের টাকা চাইতে গেলে গ্রামবাসীদের কপালে মারধর জুটত বলেও অভিযোগ উঠেছে ওই তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তাদের যাবতীয় অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷
উল্লেখ্য, সিবিআই শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শনিবার ৷ কিন্তু, হাজি সিদ্দিক মোলা, হাশেম মোল্লা এবং জুলফিকার মোল্লাকে গ্রেফতার কেন করা হয়নি, তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দারা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের সময় এই তিন তৃণমূল নেতা ফের গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার শুরু করতে পারে ৷ তাই অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব গোটা গ্রাম।
সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৷ জমির দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তার শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা ৷ গত 29 ফেব্রুয়ারি সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান ৷ পরে সেই মামলা আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে ৷ পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ, সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লা ৷ শনিবার শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে ৷
আরও পড়ুন: