কৃষ্ণনগর, 2 মার্চ: 'আমি খোলা মনে অনেক কিছু বলতে চাই', আজও বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শনিবার সকালে তিনি বলেন, "সম্ভাবনা থাকলেও বাংলা পিছিয়ে রয়ে গিয়েছে ৷ গত 10 বছরের ওই অভাব পূরণ করতে এই রেল পরিকাঠামোয় জোর দিয়েছি ৷ পশ্চিমবঙ্গে রেল পরিকাঠামো দ্বিগুণেরও বেশি টাকা খরচ করছি ৷" তিনি আজ চারটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন ৷ রেলওয়ে, পেট্রেলিয়াম-সহ বেশ কিছু প্রকল্প ছিল ৷ 15 হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন, বিদ্যুৎ, সড়ক, রেলের সুযোগ সুবিধা ৷ আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ রেলপ্রকল্পের উদ্বোধন ৷ বাজারসৌ-আজিমগঞ্জ ডবল রেললাইনের উদ্বোধন ৷ রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ফেজ-2 উদ্বোধন করলেন ৷ 11 হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ হবে ৷ আর্থিক উন্নতি হবে ৷
ফরাক্কা-রায়গঞ্জের মধ্যে 12 নম্বর জাতীয় সড়ক উদ্বোধন ৷ 2 হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে ৷ এই জাতীয় সড়কে যাতায়াতের সুবিধে হবে ৷ এই দূরত্বে 4 ঘণ্টা থেকে আধ ঘণ্টায় কমে আসবে ৷ কালিয়াচক, সুজাপুর, মালদা টাউন যাতায়াতে আরও সুবিধেজনক হবে ৷ কৃষকদের সুবিধে হবে ৷
শুক্রবারই সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "অনেক কিছু বলার আছে ৷ দলীয় মঞ্চে বলব ৷" সেই কথা রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু থেকেই একদিকে সন্দেশখালি এবং অন্যদিকে দুর্নীতি, দুই ইস্যুকে হাতিয়ার করে একের পর এক তির চালিয়ে গেলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উদ্দেশে ৷ সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল তো বটেই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও সরাসরি আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এদিন আরামবাগের সভা থেকে ঠারেঠোরে নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিলেন, সন্দেশখালি ঘটনার মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে বাঁচানোর পিছনে হাত রয়েছে খোদ রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ৷ আর সব শেষে প্রধানমন্ত্রী বললেন, "চোটের জবাব, ভোটে দেবেন মানুষ ৷"
আরও পড়ুন: