কলকাতা, 16 নভেম্বর: কলকাতা পুরনিগমে 108 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে যবনিকা পতন ! লালবাজার সূত্রে খবর, এমনটাই দাবি করেছেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ৷ ঘটনায় ধৃত দুষ্কৃতীকে 10 হাজার টাকা দিয়ে বিহার থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল ৷ এমনকি কাজ হয়ে গেলে, হাতে বাড়তি আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল ধৃতকে ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, ধরা পড়ে যাওয়ার পর নিজের পরিচয় ও নাম লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই দুষ্কৃতী ৷ নিজেকে নাবালক বলে দাবি করেছিলেন তিনি ৷ পরে তাঁর পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, ধৃত বিহারের বাসিন্দা ও বয়স 18 বছরের বেশি ৷ তাঁর নাম যুবরাজ সিং বলে জানা গিয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, বিহার থেকে প্রথমে ট্রেনে হাওড়া ৷ তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সিতে কলকাতায় এসে বন্দর এলাকায় থাকছিলেন অভিযুক্ত ৷
সুশান্ত ঘোষকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার আগে রেইকি করেছিলেন সুপারি কিলার যুবরাজ সিং ৷ এই ঘটনায় আহমেদ নামে এক ট্যাক্সি চালককে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ তাঁর ট্যাক্সিতে করেই আততায়ীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ ট্যাক্সি চালক আহমেদ ও যুবরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে কাউন্সিলরকে খুনের প্রধান ষড়যন্ত্রকারীর খোঁজও শুরু হয়েছে ৷ তবে, কে বা কারা মূলচক্রী, তা প্রকাশ করেনি পুলিশ ৷
আজ বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা ঘটনাস্থলে যান ৷ সঙ্গে ছিলেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ৷ তিনি পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখেন ৷ উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধের পর 107 নম্বর ওয়ার্ডে যে আবাসনে তিনি থাকেন, তার বাইরে বসেছিলেন সুশান্ত ঘোষ ৷
পুলিশের দেওয়া সিসিটিভি-তে সেই সময় একটি স্কুটিতে করে দু’জন আসেন ৷ পিছনে বসে থাকা তরুণ স্কুটি থেকে নেমে আসেন এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সুশান্ত ঘোষের দিকে তাক করেন ৷ কিন্তু, আগ্নেয়াস্ত্রটি সেই মুহূর্তে কাজ না-করায় গুলি চলেনি ৷ সেখানে থাকা অন্যান্য লোকজন ওই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন ৷ স্কুটিতে বসে থাকা আততায়ী পালাতে সক্ষম হলেও, সুপারি কিলার যুবরাজ সিংকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা ৷