নয়াদিল্লি, 19 জানুয়ারি: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণে আগুন লাগে ৷ রবিবার এই ঘটনার পর উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ৷ সরকারি সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ মেলায় কী অবস্থা, তা জানতেই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন ৷ দুই নেতার মধ্য়ে বেশি কিছুটা সময় কথা হয় । আগুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেন যোগী । পাশাপাশি এই অবস্থায় মেলা কীভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে তা নিয়েও দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছেে বলে আদালত সূত্রে খবর।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রান্নার এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে এই বিশাল মেলা প্রাঙ্গণের 19 নম্বর সেক্টরে আগুন লাগে ৷ যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ৷ মেলার প্রধান দমকল আধিকারিক প্রমোদ শর্মা জানিয়েছেন, 15টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে ৷
প্রয়াগরাজে গত বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে মহাকুম্ভ মেলা ৷ 144 বছর পর এই মহাকুম্ভ মেলা ঘিরে দেশজুড়ে উৎসবরে মরশুম । নিমেষের মধ্য়ে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয় ৷ চারিদিকে হুড়োহুড়ি শুরু হয় ৷ একাধিক জিনিস পুড়ে গিয়েছে ৷ হুড়োহুড়িতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কী থেকে আগুন লাগল, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় ৷
পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজিপি) ভানু ভাস্কর জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আগুন নেভানোর ইঞ্জিন-সহ দমকল বাহিনীর আধিকারিক, পুলিশ এবং এসডিআরএফ-এর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক ৷
সংবাদসংস্থা এএনআইকে এডিজিপি ভাস্কর বলেন, "বিকেল 4.30 মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ কোনও হতাহতের খবর নেই ৷ এখানে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক ৷" প্রয়াগরাজের ডিএম রবীন্দ্র কুমার মান্ধাদ বলেন, "আমরা 19 নম্বর সেক্টর এলাকায় গীতা প্রেসের ক্যাম্প থেকে খবর পাই ৷ পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ গীতা প্রেস ছাড়াও 10 টি তাঁবুতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ পরে আগুন নেভানো হয় ৷"