ভদ্রেশ্বর, 19 জানুয়ারি: তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর জুটমিলের ভিতরে চৌবাচ্চা থেকে নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য । মৃতের নাম মহঃ রেহান (15)। চাঁপদানী কেবিএম রোডের বাসিন্দা রেহান আনিস অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র । তার বাবা মহঃ মুক্তার চাঁপদানী নর্থব্রুক জুটমিলেরই শ্রমিক ।
গত 16 জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল রেহান । ভদ্রেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে । নিখোঁজ পোস্টার লাগিয়ে খোঁজাখুঁজি চলছিল । রবিবার জুটমিল চত্ত্বরে পরিত্যক্ত জঙ্গলে পচা গন্ধ পায় স্থানীয় শ্রমিকরা । খোঁজাখুঁজি করতেই কিছুটা জঙ্গলের মধ্যে মৃতদেহ দেখতে পায় তারা । খবর দেওয়া হয় ভদ্রেশ্বর থানায় । পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় । নিখোঁজ রেহানের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ সনাক্ত করে । তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের ।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ । কীভাবে কেন জুটমিলের বাউন্ডারি টপকে ভিতরে ঢুকল রেহান সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে ।চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, কিশোর নিখোঁজ ছিল । কী হয়েছিল তা জানতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।
মৃতের পিসি রুখসানা খাতুনের কথায়, "তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল রেহান । আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে পাঁচিল টপকে জুটমিলের ভিতরে ঢুকেছিল তিনজন । কোনওভাবে ইলেকট্রিক শক খেয়ে চৌবাচ্চায় পড়ে যায় । বাকি দু'জন ভয় পেয়ে পালিয়ে আসে । আমাদের বাড়িতেও কিছু বলেনি কী ঘটেছিল ৷ নবম শ্রেণিতে পড়ছিল আমার ভাইপো । দু'জন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মারধর করার পর তারা বলে এই ঘটনা ঘটেছিল ।"
ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে দু'জন বন্ধু কিছু বলতে চাইছিল না । মৃতদেহ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় তাদের । প্রাথমিক ধারণা ইলেকট্রিক শকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হবে ।
এই বিষয়ে জুটমিল ইউনিয়নের নেতা রাম বাবু সাউ বলেন,"একটি ছেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে । জুটমিলের বাউন্ডারির দেওয়ালের পাশে একটি জলের চৌবাচ্চাতে পচা গলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । পুলিশের তদন্ত ছাড়া সঠিক কেউ কিছু বলতে পারবে না । কী করে জুটমিলের ভিতরে নাবালকটি এল তাও বলতে পারব না ।"