হায়দরাবাদ, 19 জানুয়ারি: প্রাণঘাতী হামলার পর কেটে গিয়েছে চারদিন ৷ এখনও মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান ৷ রবিবার তাঁকে হাসপাতালে দেখে গেল দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ ৷ মা করিনা কাপুর খানের সঙ্গে এদিন হাসপাতালে আসে তারা দু'জন ৷
সইফের উপর হামলার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল তৈমুর ও জেহকে ৷ এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকেন করিনা কাপুর খান ৷ তাঁকে একটু চিন্তিত দেখাচ্ছিল ৷ ইতিমধ্যে তাঁদের হাসপাতালে আসার ভিডিয়ো ধরা পড়েছে পাপারাজ্জিদের ক্য়ামেরায় ৷ ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়ও ৷
হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, সইফ আলি খানের অবস্থা এখন স্থিতিশীল ৷ আগের থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তাঁর। অভিনেতার শরীরে ছ'টি ক্ষত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যার মধ্যে দুটি ক্ষত বেশ গুরুতর ৷ কারণ ক্ষতগুলি তাঁর মেরুদণ্ডের কাছাকাছি হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গত 16 জানুয়ারি গভীর রাতে নিজের বাড়িতে দুষ্কতী হামলার শিকার হন বলি তারকা তথা শর্মিলা ঠাকুরের ছেলে সইফ আলি খান ৷ ওই হামলায় গুরুতর জখমও হন ৷ সেদিন মুম্বইয়ের অভিজাত বান্দ্রা এলাকায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতার 12তলা অ্যাপার্টমেন্টে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে ৷ ছ'বার ছুরি দিয়ে সইফের শরীরে আঘাত করে দুষ্কৃতী ৷ এরপর অটো করে রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর জখম অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ তিনি তারপর থেকে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ৷
ডাকাতির উদ্দেশে ওই দুষ্কৃতী ঢুকেছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৷ তবে হামলার পরই সইফের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ ৷ সেই ফুটেজ থেকে এক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয় এবং তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ৷ শনিবার ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয় ৷ ধৃতের নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ(30) ৷ ধৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে পুলিশের অনুমান ৷ তার থেকে ভারতের বৈধ কোনও নথি মেলেনি বলে খবর ৷
