হাড়োয়া, 7 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডে 'মাস্টারমাইন্ড' তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের 'কীর্তির' যেন শেষ নেই! যত দিন যাচ্ছে ততই নানা অজানা তথ্য বেরিয়ে আসছে তাকে কেন্দ্র করে। এরইমধ্যে এবার মৎস্য ব্যবসায়ীদের বকেয়া প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বাহুবলী নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কয়েকশো মৎস্য ব্যবসায়ীর প্রাপ্য এই টাকা সে রীতিমতো প্রভাব খাটিয়ে আত্মসাৎ করে নিয়েছে গায়ের জোরে। দাপুটে নেতা শাহজাহানের নতুন এই 'কীর্তির' কথা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাড়োয়া অঞ্চলে।
সন্দেশখালি কাণ্ডে 'বাহুবলী' এই শাসক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়া এবং সেই ঘটনায় 'মাস্টারমাইন্ড' শাহজাহান ফেরার হওয়ার পর থেকেই এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে বঞ্চিত মৎস্য ব্যবসায়ীরা। একপ্রকার মনে সাহস নিয়েই তাঁরা শেখ শাহজাহানের এই 'কুকীর্তির' বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হচ্ছেন।দাবি জানাচ্ছেন, বকেয়া প্রাপ্য টাকা ফেরৎ দেওয়ারও ৷ অনেকেই বলছেন, শাসকদলের যে বাহুবলী নেতার জুলুমবাজি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এতদিন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহসটুকু পেত না। এখন তাঁরাই সবার আগে এগিয়ে এসে সেই নেতার 'কুকীর্তি' ফাঁস করে দিচ্ছেন।
নেপথ্যে অবশ্যই ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। আর তারপর থেকে সাধারণ মানুষের একাংশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে । তাহলে কি এলাকায় ক্রমশ শাহজাহানের রাশ আলগা হতে শুরু করেছে? নাকি মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই এগুলো? এমনই সব প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, পলাতক শাহজাহান গোপন আস্তানা থেকেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছেন।
এদিকে, পাঁচ বছর আগের সেই 'কুকীর্তি'র ঘটনায় যেন দাবানলের মতো বেরিয়ে এসেছে আজকে। প্রাপ্য টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে হাড়োয়ার ঘোষপুর এলাকা। বঞ্চিত মৎস্য ব্যবসায়ীদের একটাই দাবি, বকেয়া টাকা যে কোনও মূল্যে ফেরত দিতেই হবে ৷
আরও পড়ুন: