কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: পূর্বাভাস মতোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। ফাল্গুন মাসে বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় অফিস ফেরৎ মানুষজন পড়লেন বেকায়দায়। শহরের বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইনও লক্ষ্য করা গেল। সেই জের কাটতে সময়ও লাগল বেশ খানিকটা। শুধু কলকাতা নয়, বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া এবং দুই চব্বিশ পরগনাতেও।
হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, উত্তর-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলায়। তার জেরেই এই বৃষ্টি। শুধু এদিন নয়, সামগ্রিকভাবে গোটা ফাল্গুন মাসেই রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ঘূর্ণাবর্তের ফলে এই রাজ্যের বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার জেরে ইতিমধ্যেই বুধবার রাতে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।
এরপর এদিন সকালেও রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই খানিকটা বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। এমনকী কলকাতাতেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই পূর্বাভাস মিলে গেল সন্ধ্যায়। তবে এই বৃষ্টিতে আগামী পাঁচদিনে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। ঘূর্ণাবর্তের কারণে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয়। তবে আগামী পাঁচদিনে উত্তরবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। শুক্রবারও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। শনিবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া পাওয়া যাবে।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করবে। ইতিমধ্যে শীত বিদায় নিয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 28.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে 2 ডিগ্রী কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 23. 5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রী বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ 89 শতাংশ।
আরও পড়ুন: