কলকাতা, 4 অক্টোবর: এবারে দুর্গাপুজোয় রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ বাহিনী রাস্তায় নামাচ্ছে লালবাজার । বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উপর ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে থাকতে পারে ড্রোন ৷ আরজি কর-কাণ্ডের জেরে শহরজুড়ে প্রতিবাদের আবহে পুজোয় শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না-হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর নগরপাল মনোজ ভার্মা ৷
প্রতিটি থানার সঙ্গে যুক্ত রাখা হচ্ছে দুটি করে এইচআরএফএস অর্থাৎ হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াডের বিশেষ ইউনিটকে । লালবাজার সূত্রের খবর, কোনও এলাকায় কোনও ঝামেলা হলে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াডের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সিদ্ধহস্ত ।
পাশাপাশি প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে এবং ভিতরে থাকছেন কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশকর্মীরা । এছাড়াও পুজো মণ্ডপের উপরে ওড়ানো হতে পারে ড্রোন । এই ড্রোনের মাধ্যমে মানুষের জনসমাগমের ছবি লালবাজার থেকে দেখে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ । এছাড়াও লালবাজারের তরফে বেশকিছু পুজো মণ্ডপে প্রতিবারের মতো এবারেও বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
পঞ্চমীর সকাল থেকেই শহর জুড়ে থাকছে মোট দশ হাজার পুলিশ বাহিনী । প্রয়োজনে এই পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করাও হতে পারে । বড় বড় জায়গাগুলিতে ওয়াচ টাওয়ার বানিয়ে নজরদারি চালাবে পুলিশ । শুধুমাত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা রক্ষী নয়, কলকাতা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে আরও সচল রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্র্যাফিক বিভাগ ।
জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে চার হাজার ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী পঞ্চমীর দিন থেকে রাস্তায় নেমে পড়বেন । এছাড়াও পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ফোন করা হচ্ছে, যদি কোনও ব্যক্তি কোনও জায়গায় কোনও প্রকারের অসুবিধার সম্মুখীন হন, তবে তাঁরা যেন ট্র্যাফিক কন্ট্রোলরুমে ফোন করে বিষয়টি জানান ।
এদিন কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা বলেন, "এককালে আমিও কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্র্যাফিক ছিলাম । পুজোর সময় ট্র্যাফিকের চাপ সবথেকে বেশি থাকে । সেটা আমি ভালোভাবেই জানি । আর তার জন্যই ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানোর দিকে আমরা নজর রাখছি ।"
কিছুদিন আগেই শহরের পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ । সেখানে একাধিক পুজো মণ্ডপের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, যদি পুজো মণ্ডপে কোনও সংগঠন কিংবা কোনও ব্যক্তি 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান দেয় এবং তার ফলে যদি ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়ায়, সেক্ষেত্রে কী করা হবে ? জবাবে কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ ভার্মা বলেছিলেন, "আমরা সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারি ।" যদিও তাঁদের কী পদক্ষেপ হতে পারে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানায়নি লালবাজার ।