কলকাতা, 19 জুলাই: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পড়ল আন্তর্জাতিক রেল পরিবহণেও ৷ শুক্রবার দর্শনায় দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস ৷ এরপরই শনিবার বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ৷
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। দেশের একাধিক জায়গায় সম্পূর্ণ শাটডাউন চালাচ্ছে ছাত্র সমাজ। মূলত সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরোধিতা করে চলেছে ছাত্রদের আন্দোলন। এই অশান্তিতে প্রভাবিত হয়েছে রেল পরিষেবাও। এর পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার 13107 ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং 13108 কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে আজ 13109 আপ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে সকাল 7টা 13 মিনিটে ছাড়ে। এরপর ট্রেনটি সকাল 9টা 12 মিনিটে গেদে পৌঁছয়। এরপর সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ বাংলাদেশ রেলওয়ের দিকে রওনা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকাল পৌনে 10টা থেকে দর্শনায় ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে বলে জানা যায়। দীর্ঘক্ষণ দর্শনায় দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন দুপুর সাড়ে 12টায় অবশেষে ছাড়ে। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লেও আন্দোলকারীরা ঢাকা শহরের সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ঢাকাগামী ট্রেনটিকে মাঝপথেই বিক্ষোভের জেরে আটকে যায়।
ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে গাজীপুরের জয়দেবপুরের কাছে আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরুদ্ধ করার ফলেই মাঝপথে আটকে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। উল্লেখ্য, প্রতি সপ্তাহের কলকাতা ও বাংলাদেশের ঢাকা শহরের মধ্যে যাতায়াত করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। প্রতি সপ্তাহে তিনদিন পরিষেবা দেয় এই ট্রেন। সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার, শুক্রবার ও রবিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছয়। এদিক থেকে ট্রেনটি সোমবার বুধবার ও শনিবার ঢাকায় পৌঁছয়। কলকাতা থেকে ঢাকা পিছবার যাত্রা পথ হল মাত্র 375 কিলোমিটার।
তবে রেলপথে কলকাতা থেকে ট্রেনটি ঢাকা পছোট সময় লাগে যায় প্রায় 9 ঘণ্টা। সকাল 7.10 মিনিটে ছেড়ে বিকেল 4.10 মিনিটে ঢাকা স্টেশনে পৌঁছয়। অন্যদিকে, ঢাকা থেকে ট্রেনটি সকাল 8.15 মিনিটে কলকাতার উদ্যেশ্যে রওয়না হয়ে এখানে পৌঁছয় বিকেল 4 টের সময় পৌঁছয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় এই ট্রেনে তেমন যাত্রী ভিড় না-থাকলেও পুজোর সময় এবং শীতের সময় এই ট্রেনের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।