কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রয়েছে বলেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়নি সিবিআই ৷ সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি করল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট ৷ তবে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁদের ভরসা রাখতে অনুরোধ করেছেন বলে জানান প্রতিনিধিরা ৷ যদিও, তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না-বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের সদস্য জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার ৷
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, "ওঁরা আমাদের বারবার বলেছেন জামিন পেয়ে যাওয়া মানেই অভিযোগ থেকে সরে যাওয়া নয় ৷ ওঁরা অভিযুক্ত ৷ সিবিআই বলেছে, ওঁরা 90 দিনে চার্জশিট জমা দিতে চাননি ৷ কারণ, তদন্ত এখনও চলছে ৷ সিবিআইয়ের উপর ভরসা রাখতে বলছেন ৷ তবে, কীভাবে ভরসা রাখব ! সে কথাই আমরা বলে এসেছি সিবিআই আধিকারিককে ৷"
জুনিয়র ডাক্তাররা মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছানোর পর পুলিশ তাঁদের বাইরেই আটকে দেয় ৷ এরপর আটজনের প্রতিনিধি দল ভিতরে যায় ৷ সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা ৷ প্রায় 45 মিনিট দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷
আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার সুযোগ নিয়েছে সিবিআই ! বিস্ফোরক অভিযোগ আরজি করের নির্যাতিতার বাবার
আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাট মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের প্রতিবাদে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট এবং মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের ডাকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করা হয় শনিবার ৷ করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ কয়েকশো মানুষ ৷ সেই কর্মসূচির প্রথমেই উপস্থিত ছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মা ৷
শনিবার সিজিও অভিযানে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তাঁদের হাতে দেখা যায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ৷ সেই প্ল্যাকার্ডে সেটিংয়ে অভিযোগ তোলা হয় ৷ সেই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক তৃণেশ মণ্ডল বলেন, "এটাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ রাজ্য সরকারের কলকাতা পুলিশ ৷ আর তাদের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ঘটনা আমরা দেখেছি ৷ সিবিআইকে আমরা দেখছি দীর্ঘসূত্রিতা করতে ৷ ফলে একটা গোপন আঁতাতের প্রসঙ্গ এখানে উঠে আসবেই ৷" যদিও, শনিবার সিবিআইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে পরেও আন্দোলনের ঝাঁঝ কমবে না-বলেই জানিয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট ৷