কোচবিহার, 15 ডিসেম্বর: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলেজ চত্বরে দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের শীতলকুচি কলেজে ৷ ওই ছাত্রনেতার নাম মাসুম আক্তার ৷ তাঁকে ধরে কয়েকজন ছাত্র মারধরও করেন বলে অভিযোগ ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ যদিও তার আগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় ওই ছাত্রনেতা ৷
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাসুম ৷ এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষও কোনও বক্তব্য দেয়নি ৷ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন ৷
ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার কলেজে মিটিং ডাকা হয়েছিল । সেই মিটিং চলাকালীন হঠাৎই ওই ছাত্রনেতা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হন কলেজ চত্বরে । এরপর তাঁকে দেখেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর ছাত্রনেতারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ।
অভিযোগ, এরপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে । হঠাৎ করেই ওই ছাত্রনেতা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । বাকি ছাত্ররা তাঁকে ধরে ফেলে মারধর করে ৷ কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত শীতলকুচির কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রনেতার মধ্যে ঝামেলা দীর্ঘদিনের ৷ শনিবারের ঘটনা তারই জেরে হয়েছে ৷
যদিও তাঁকে ফাসানো হয়েছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন ওই ছাত্র নেতা । প্রাক্তন ওই ছাত্র নেতা মাসুম আক্তারের দাবি, ‘‘শনিবার কয়েকজন মিলে আমরা কলেজে গিয়েছিলাম । সেখানে দেখি টিচার ইন চার্জের ঘরে কিছু বহিরাগত রয়েছে । কেন কলেজে বহিরাগত থাকবে ? এর প্রতিবাদ করাতেই আমাদের মারধর করে । এবং দুষ্কৃতীদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র আমার জ্যাকেটে ঢুকিয়ে আমাকে হেনস্তা করা হয় ।’’
এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল । কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ঠিক নয় । গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব ।’’ অন্যদিকে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র নেতা প্রহ্লাদ বর্মন জানান, কলেজে কলেজে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ৷ এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷