শ্রীরামপুর, 22 জুন: মোক্ষ যোগে মাহেশে পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা । এবার 628তম বর্ষে মাহেশের রথ ও স্নানযাত্রা উৎসব । 47 বছর পর মোক্ষযোগে শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্নানযাত্রা উৎসব। এদিন ভোর সাড়ে 5টায় জগন্নাথ দেবকে বের করে প্রাণমঞ্চে নিয়ে আসা হয় । সেখানে সকাল 6টা 20 মিনিট থেকে শুরু হয় স্নানযাত্রা উৎসব । এই উৎসব উপলক্ষে স্নান পিড়ি মাঠে অগণিত ভক্তের সমাবেশ ঘটে এদিন। সারাদিন ভক্তদের মাঝেই জগন্নাথ দেবের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় ভোগ দিয়ে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে মন্দির গর্ভে ঢোকানো হবে। ফের রথযাত্রার দিন ভক্তদের মাঝে বের হবেন জগন্নাথ দেব।
এদিন রীতি মেনে মহা ধুমধামের সঙ্গে 28 ঘড়া গঙ্গা জল ও দেড় মোন দুধ দিয়ে মাহেশের জগন্নাথ দেবকে স্নান করান সেবাইতরা। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এই স্নানযাত্রায় শরিক হন। পুজো দেন ঠাকুরের কাছে । অন্যান্য বছর স্নানের পরই মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ দেবকে । কিন্তু মোক্ষযোগের কারণে আজ সারাদিন ভক্তদের মাঝেই থাকবেন জগন্নাথ দেব। সারাদিন পুজোর পর তাঁকে মন্দিরের মধ্যে রাখা হবে ৷ কথিত আছে, এই স্নানের পর জ্বর আসে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার । তাই সন্ধ্যার পর থেকেই মন্দির বন্ধ রেখে সেবা-শুশ্রূষা করা হয় তাঁদের । কবিরাজের পাঁচন খেয়ে তিন ভাইবোন সুস্থ হন । তারপরেই 15 দিন পর তাঁদেরকে ফের বাইরে আনা হয় ৷
জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক ও প্রধান সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, "রুপোর ছাঁকনি ও ঘড়া দিয়ে দুধ এবং গঙ্গা জলে স্নান করানো হয়েছে জগন্নাথ দেবকে । সারাদিন পুজো নেবেন তিনি এবং গজ বেশ ধারণ করেছেন । 47 বছর আগে আজকের দিনে মোক্ষ যোগ এসেছিল । ফের এই বছর মোক্ষ তিথি পড়েছে । আজ সকাল 8টা 45 মিনিট থেকে অম্বুবাচী পরে যাচ্ছে । তাই এর মধ্যেই জগন্নাথ দেবকে স্নান করানো হয় ।"
তাঁর কথায়, "নীলাচল ও মাহেশে কোনও অম্বুবাচী হয় না । বিধবা মহিলারা মন্দিরে এসে ভোগ খান । আজ লাড্ডু ভোগ দেওয়া হবে প্রভুকে । সারাদিন পুজোর পর সন্ধ্যার সময় মহাপ্রভুর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে । আগামী 15 দিন মন্দিরের মধ্যেই ঠাকুরকে রাখা হবে এবং এই সময় বলা হয় জগন্নাথ দেবের জ্বর আসে । ফের 5 জুলাই নব যৌবন পালন করা হবে ঠাকুরের । 7 জুলাই মাহেশে 628তম রথযাত্রা উৎসব পালন করা হবে ।"