ভাঙড়, 13 নভেম্বর: রাজ্যে 6টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন চলছে ৷ এই ভোটের আবহে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড় । রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনায় কাঠগড়ায় আইএসএফ ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় বিধানসভার অন্তর্গত ভাঙড় চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের 141 নম্বর বুথের কৃষ্ণমাটি এলাকায় । স্থানীয় কৃষ্ণমাটি ব্রিজের কাছে রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা ওই পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় । আগুনে পুড়ে শাসক দলের কার্যালয়ের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
যদিও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, রাজনৈতিক হিংসার কারণে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা এই কাজ করেছে । এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাসক দলের কার্যালয়ে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার একাধিক ফ্লেক্স ও ব্যানার পুড়ে গিয়েছে । বেশ কিছু দলের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও পুড়ে গিয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের কর্মীদের ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে কৃষ্ণমাটি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ । এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য কালাম মোল্লা বলেন, "রাজনৈতিক হিংসার কারণে মঙ্গলবার আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা । আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ৷ পুলিশ-প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক ।"
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাগে ফুঁসছে এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা । যদিও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএসএফের জেলা পরিষদের সদস্য রাইনুর হক ৷ তিনি বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ৷ এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই । আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা এমন হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না । এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে তদন্ত করে গ্রেফতার করুক পুলিশ ।"