শিলিগুড়ি, 31 জানুয়ারি: উত্তরবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্তে আকাশপথে সবচেয়ে বড় মহড়া করল ভারতীয় বায়ুসেনা ৷ সঙ্গে ছিল সেনা বাহিনীও । যার নাম রাখা হয়েছিল 'ডেভিল স্ট্রাইক' । 22 জানুয়ারি থেকে টানা ছ'দিন এই মহড়া চলে । বাংলাদেশ, ভুটান, চিন, নেপাল সীমান্ত দিয়ে হয় মহড়া । এই সময়ে আকাশে উড়ল রাফাল, সি-130 হারকিউলিসের মতো বিমান । মহড়ার সময় একাধিক যুদ্ধ বিমান থেকে ঝাপিয়ে পড়তে দেখা গেল এক হাজার প্যারাট্রুপারকে । পাশাপাশি খরস্রোতা তিস্তা নদীতে নামলেন জনা পঞ্চাশেক ডুবুরি জওয়ান ৷
তিস্তা ক্যানেল ও ব্যারেজ এলাকার জলে স্পিড বোট চালিয়ে নদী পারে সারি দিয়ে উঠে এলেন কালো পোশাকে ঢাকা জওয়ান ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কমান্ডোরা । মাথার উপরে আকাশে তখন উড়ছে একের পর এক এএন-31 এবং এএলএইচ হেলিকপ্টার । সুকনার কন্ট্রোল রুমের বড় বড় এলইডি পর্দায় টার্গেট নষ্ট করার ছবি ও তথ্য ফুটে উঠছে ।
অন্তত তিনটি রাফালের লক্ষ্য ধ্বংসের ছবিও ভাসছে পর্দায় । এই গোটা প্রক্রিয়ায় সেনা বাহিনীর উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত 33 কোরের অফিসারেরা সুকনা থেকে নজরদারি চালান । সেই সঙ্গে বাগডোগরা, ব্যাঙডুবি, হাঁসিমারা-সহ একাধিক সেনা ছাউনিকে জুড়ে রাখা হল পুরো প্রক্রিয়ায় । সে এক অনন্য ছবি ধরা পড়েছে ।
কর্নেল অঞ্জন কুমার বসুমাতারি বলেন, "আকাশকে ব্যবহার করে বিরাট মাপের মহড়া হয়েছে । বায়ুসেনাও সেনা বাহিনীর সঙ্গে অংশ নিয়েছে । বাহিনীর তৎপরতা, কৌশল, ক্ষমতা দক্ষতা দেখতে এই মহড়া । পুরো মহড়াই সফল হয়েছে ।" তিনি জানান, আকাশপথে লক্ষ্য ধ্বংস, পরপর প্যারাশুটে সেনা, ভারী অস্ত্র-সহ নানা সরঞ্জাম নামিয়ে সমতলের বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নির্দিষ্ট কাজে গতি এবং সফলতা খতিয়ে দেখা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: