কলকাতা, 14 জুলাই: জয়ের পরেও মানিকতলায় থাকবে নির্বাচনের জন্য তৈরি কোর কমিটি। অন্তত তৃণমূল দলীয় সূত্রে তেমনটাই জানানো হয়েছে বলে খবর ৷ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, কেন নির্বাচনের পরেও এই কমিটিকে রেখে দেওয়া হল ? বিষয়টা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা-ও মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
নির্বাচনের ফল যেদিন ঘোষণা হয়েছে, সেদিনই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এমন খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ 2021-এর নির্বাচনের পরে সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর এই মানিকতলা এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন সাধন-কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই তাঁকে মানিকতলার দলের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ৷
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর মানিকতলার এক আবাসনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রেয়া পাণ্ডের উপর ক্ষুব্ধ হন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মানিকতলার সব দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার নির্বাচনে ভোট গণনার সময় বারবারই যখন দলীয় সমর্থকরা শ্রেয়া পাণ্ডের কাজে প্রশংসা করেছেন তখন ঘুরেফিরে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। এমনকী মানিকতলার জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সুপ্তি পাণ্ডে নিজেও বলেছেন, শ্রেয়া পাণ্ডের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ সক্রিয়। যার কারণে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে।
আর ঠিক তখনই দলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনের জন্য যে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। মানিকতলার কোর কমিটি আপাতত পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত থাকবে, কাজ চালাবে, নতুন বিধায়ককে কাজে সাহায্য করবে। এরপরই রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি শ্রেয়া পাণ্ডেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল ?
যদিও এই নিয়ে নবনির্বাচিত মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও জবাব দেননি। একইভাবে শ্রেয়া পাণ্ডেকেও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনিও বলেছেন এক্ষেত্রে দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি তা মেনে নেবেন।