কলকাতা: গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মহিলাকেই পুষ্টিকর খাবারে পেট ভরাতে হবে ৷ তবেই মা ও সন্তান উভয়ই সুস্থ থাকবে । কারণ গর্ভে থাকাকালীন মায়ের থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করে সন্তান । তাই প্রেগনেন্ট মহিলাদের পাতে ভিটামিন, খনিজ ফাইবার-সহ নানা পুষ্টির একটা ব্যালেন্স থাকতে হবে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, জেনেটিক কারণ ছাড়াও মায়ের ভুলেও গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে ৷ যার জন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি নজর দেওয়া উচিত ৷ মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়াবেন ? জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ লতাশশী ৷
তিনি বলেন, "সন্তানের হাড় গঠনে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম । এই খনিজের গুণেই হার্ট, পেশি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা ঠিক থাকে । এমনকী রক্ত সচল করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ক্যালসিয়াম ।"
তিনি আরও বলেন,"যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক ডায়েট অনুসরণ না করেন তবে আপনি অসুবিধার সম্মুখীন হবেন । এতে বিশেষ করে শিশুর শুধু ওজনই বাড়বে না বরং অনেক জটিল রোগের সমস্যা হতে পারে ৷ এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে সময়ের আগে প্রসব, স্থূলতা, গর্ভকালীন, বিপি এবং সুগারের সমস্যাগুলিও গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে দেখা দেয় ।"
"বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সঠিক পরিমাণে চর্বি এবং প্রোটিন গ্রহণ করা না হলে এর প্রভাব কেবল শিশুর ওজনের উপর নয়, হৃদপিণ্ড এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলির উপরও পড়ে । এছাড়াও মোনাশ ইউনিভার্সিটি পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য ৷ ফলে গর্ভাবস্থায় উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে মা এবং অনাগত সন্তানের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও কম থাকবে ৷
পুষ্টিবিদের মতে, শুধুমাত্র এক ধরনের খাবার যাতে বেশি ফাইবার আছে তা খেলে খুব একটা লাভ হবে না ৷ বিভিন্ন ধরনের উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার যেমন সিরিয়াল, ডাল, বাদাম, ডাল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং মাছ খাওয়া প্রয়োজন ৷ শুধুমাত্র খাদ্যতালিকাগত ফাইবারই নয় এছাড়াও ভিটামিন, ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও সম্পন্ন খাবারও প্রয়োজন । ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিদিন 2000 ক্যালোরির খাদ্যের জন্য 40 গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার গ্রহণ করতে হবে । এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে জবল পান করা প্রয়োজন ৷ যাতে আপনার অনাগত সন্তান সুস্থ থাকে ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC9182711/
https://www.unicef.org/parenting/what-to-eat-when-pregnant
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)